খেলাঃ
নবম সাফ কাপ জয়ের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ভারতীয় ফুটবল দল। সুনীল ছেত্রীদের মাঝে প্রাচীর কুয়েত। মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে সাফের ফাইনালে রুই বেন্টোর দলের মুখোমুখি ভারত। গ্রুপ পর্বে কুয়েতের বিরুদ্ধে আধিপত্য দেখিয়েও আনোয়ার আলির আত্মঘাতী গোলে জিততে পারেনি সুনীলরা। ফাইনালে কোনও ভুল করতে চায় না মেন ইন ব্লুরা। সাফের ইতিহাসে ১৩ বারের মধ্যে আটবার জিতেছে ভারত। সাফল্যের হার সবচেয়ে বেশি। দু’বছর আগেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সুনীলরা। সেটাই ধরে রাখতে চাইবে ভারতীয় দল। সেমিফাইনালে লেবাননকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালের ছাড়পত্র সংগ্রহ করে ভারত। অন্যদিকে অতিরিক্ত সময় বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে কুয়েত। গ্রুপ পর্বে দুই দলের ম্যাচ অমীমাংসিত শেষ হয়। লালকার্ড দেখে দু’ম্যাচ নির্বাসিত হেড কোচ ইগর স্টিমাচ। যার ফলে ফাইনালের ব্যাটন থাকবে সহকারী মহেশ গাউলির হাতে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী ভারতের অস্থায়ী কোচ। মহেশ গাউলি বলেন, ‘কুয়েত এবং লেবাননের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খুব টেনশনের ছিল। ছেলেদের মাথা ঠান্ডা রাখতে বলেছি। ফাইনাল জেতায় ফোকাস করতে হবে। ম্যাচটা সম্পূর্ণ আলাদা হবে। আমাদের দলের মনোভাব ইতিবাচক। আশা করছি ছন্দ ধরে রাখতে পারব।’ দ্বিতীয়বার ২০১১ সালে নয়াদিল্লিতে। তবে কোচ হিসেবে প্রথম ট্রফি জিততে মরিয়া। এই প্রসঙ্গে মহেশ বলেন, ‘এবার ট্রফি জেতা আরও কঠিন। কুয়েত শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। আগে আমরা শুধু সাফ দলগুলোর বিরুদ্ধে খেলেছিলাম। ২০০৫ এ করাচিতে জয় তৃপ্তির ছিল। তবে কাল জিতলে অন্য পর্যায়ে আনন্দ হবে।’ কার্ডের জন্য সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি সন্দেশ ঝিঙ্গন। গ্যালারিতে স্টিমাচের সঙ্গে বসে ম্যাচ দেখেন। ফাইনালে মাঠে নামতে উদগ্রীব। সন্দেশ বলেন, ‘বড় ম্যাচে কেউ মাঠের বাইরে থাকতে চায় না। তবে মাঝেমধ্যে মেনে নিতে হয়। আমাদের দল যথেষ্ট ভাল খেলেছে। মাঠের বাইরে বসে মনে হয়নি ওরা আমাকে খুব বেশি মিস করেছে। তবে ফাইনাল ভিন্ন ম্যাচ। আমরা সবাই তৈরি।’ কার্ড সমস্যা কাটিয়ে দলে ফিরবেন সন্দেশ এবং রহিম আলি। শেষ দশ ম্যাচে মাত্র একটা গোল হজম করেছে ভারত। মঙ্গলবারও এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাইবেন সন্দেশরা। গোলের জন্য গোটা দল তাকিয়ে সুনীল ছেত্রীর দিকে। গ্রুপ পর্বে প্রত্যেক ম্যাচে গোল পেলেও, সেমিফাইনালে স্কোরশিটে নিজের নাম তুলতে পারেননি। নিঃসন্দেহে তাতে ভারতের অধিনায়কের খিদে আরও বাড়বে। মঙ্গল সন্ধেয় তাঁর পা থেকে গোলের আশায় দেশবাসী। অন্যদিকে শেষ আট ম্যাচ অপরাজিত থেকে ফাইনাল খেলতে নামবে কুয়েত। গতবছর দায়িত্ব নেন পর্তুগিজ কোচ রুই বেন্টো। ১৩ বছর পর প্রথম ট্রফি জয়ের থেকে মাত্র একধাপ দূরে কুয়েত। ২০১০ সালে শেষবার অ্যারাবিয়ান গালফ কাপ জিতেছিল। সেই থেকে ট্রফির খরা। যা ভাঙতে মরিয়া কুয়েত।