বিশালগড় প্রতিনিধিঃ
তরুন ব্রিগেডের কাছে হার মানল কয়েক দশকের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা।সমীর রঞ্জন বর্মন, পরিমল সাহা, ভানুলাল সাহাদের মত বিশিষ্ট রাজনেতাদের বিশালগড়ে নতুন নাম সুশান্ত দেব। এই বিধানসভা কেন্দ্র রাজ্যের বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী এবং অর্থ মন্ত্রকের মত দায়িত্ব সামলেছে। ১৫ বছরের বিশালগড়ের লাল দুর্গ ভেঙ্গে গেল এক তরুন নেতার দাপুটে গর্জনে। কঠোর পরিশ্রমের ফলস্বরুপ বিশালগড়ে জয়ের স্বাদ পেলেন বিজেপির প্রতিভাবান যুবনেতা সুশান্ত দেব। শুধুমাত্রই বিশালগড়ের জন্য নয় রাজ্য রাজনীতির পরিমন্ডলে একটি অন্যতম নাম হতে পারে সুশান্ত দেব। বিশালগড়ের মত কঠিন বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিএমের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়ে এর প্রমান রাখলেন সুশান্ত। ১৩২৬ ভোটের ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দী সিপিএমের পার্থপ্রতিম মজুমদারকে হারিয়ে জীবনের প্রথম নির্বাচনেই ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নিলেন বিজেপির সুশান্ত। বিপরীতে ছিলেন সিপিএমের স্থানীয় পোড় খাওয়া দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নেতা পার্থপ্রতিম মজুমদার। বিরোধীদের পাশাপাশি নিজ দলের নেতা কর্মীদের মনেও আশঙ্কা ছিল বিশালগড় থেকে বিজেপির জয় নিয়ে। কিন্তু নিজের জয় নিয়ে প্রথম থেকেই দৃঢ় সংকল্প দেখা গেছিল প্রার্থী সুশান্তের চোখেমুখে।বিশালগড়ের প্রতিটি বুথে বুথে চষে বেড়িয়েছেন তিনি।কাজের নিরিখেই জয় নিয়ে তাঁর আত্মবিশ্বাস ছিল প্রথম থেকেই। আর ২ তারিখের ফলাফল প্রমান করল দীর্ঘ কয়েক দশকের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার কাছে সুশান্তের রাজনৈতিক বিচক্ষণতা অনেক বেশী এগিয়ে গেল।সিপিএম এর অভিজ্ঞ রাজনোইতিক টিমের বিপরীতে সুশান্তের সাথে ছিল তরুন অনভিজ্ঞ রাজনৈতিক সেনানীরা। তবে বিশালগড়ের মাটি থেকে আধুনিক রাজনৈতিক পরিমন্ডলে তরুন শক্তির জয়গাথা লিখল সুশান্ত দেব।২০১৮ সালে রাজ্যে ২৫ বছরের রাজনৈতিক পরিবর্তনের জোয়ারেও বিশালগড় ছিল বিরোধীদের দখলে। ৭৬৬ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন সিপিএম এর ভানুলাল সাহা। সেই ব্যবধানকে অতিক্রম করে ১৩২৬ ভোটের ব্যবধানে এবার বিজেপির পতাকা বিশালগড়ে উড়ালেন সুশান্ত দেব। বিগত চারটি বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে জয়ের এই ব্যবধান সর্বাধিক। বিশালগড়ের উন্নয়নে নতুন প্রজন্মের এই নেতা তার ভুমিকা কিভাবে রচনা করে তাই এখন দেখার বিষয়।