
বিশালগড়ঃ
বিশালগড় ওসির গাড়ি ছিনতাই কাণ্ডের মূল মাস্টারমাইন্ড জুয়েল আহমেদকে বুধবার বিকাল ৪ টায় গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় বিশালগড় থানার পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই ছিনতাই কান্ডে ব্যবহৃত একটি স্কুটি এবং একটি মারুতি ভ্যান গাড়িও উদ্ধার করে পুলিশ। গোটা রাজ্যের মধ্যে নজির বিহীন পুলিশের ওসির গাড়ি ছিনতাই কাণ্ডের পর থেকেই পুলিশ গাড়িটিকে উদ্ধার এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য জাল বিছাতে শুরু করেন। গতকাল রাতভর বিভিন্ন জায়গায় জুয়েলকে গ্রেফতার করতে চিরুনি তল্লাশি চালায় পুলিশ। গ্রেফতারের পর বুধবার রাত ৯ টায় বিশালগড় থানায় সিপাহীজতলা জেলার জেলা পুলিশ সুপার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানায় মধুপুর থানাধীন ভারত বাংলা সীমান্ত কৈয়াডেপা এলাকা থেকে জুয়েলকে গ্রেফতার করে। গতকাল জুয়েলের বাড়িতে পুলিশ হানা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার অবৈধ শব্দবাজি উদ্ধার করে বিশালগড় থানায় নিয়ে আসেন। রাজ্য জুড়ে চাঞ্চল্যকর এই ছিনতাই কাণ্ডের মূল মাস্টারমাইন ্ড জুয়েল গ্রেপ্তার হলেও জুয়েলের সঙ্গে থাকা আরও তিনজন ছিনতাইবাজ কে এখনো জালে তুলতে পারেনি পুলিশ। সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার জানান অতি শীঘ্রই এই ঘটনা সঙ্গে যারা যারা যুক্ত তাদের প্রত্যেকেই গ্রেফতার করা হবে। জুয়েলের সঙ্গে প্রভাবশালী রাজনৈতিক বিদদের সম্পর্কের কথা প্রকাশও আসতেই অনেক রাজনৈতিক নেতৃত্ব বেকায়দায় পড়ে যায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জেলা পুলিশ সুপার জানান জুয়েল এর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া অবৈধ ২৩ কার্টুন শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সাংবাদিকদের অপর প্রশ্নের জবাবে জেলা পুলিশ সুপার জানান একই দিনে সংঘটিত সাড়ে ১১ লক্ষ টাকার ছিনতাই কান্ডের অভিযুক্তদের এখনো গ্রেপ্তার করা না হলেও পুলিশের কাছে ইতিমধ্যে অনেক তথ্য এসে গেছে। যত দ্রুত সম্ভব সাড়ে ১১ লক্ষ টাকা ছিনতাই কান্ডের অভিযুক্তরাও পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হবেন। এবার প্রশ্ন হল ওসির গাড়ি ছিনতাই কাণ্ডে কারা জুয়েলকে পেছন থেকে সহযোগিতা করেছেন এবং জুয়েল যতবারই ছিনতাই চুরি সহ বিভিন্ন সমাজ দ্রোহী কাজে গ্রেফতার হয়েছেন কারা তাকে সহযোগিতা করতেন। কাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে একের পর এক এইসব সন্ত্রাসী মূলক কাজকর্ম অবাধে জুয়েল করে পাড় পেয়ে যেতেন।