
বিশালগড়ঃ
বটবৃক্ষ তলে ছায়ার সন্ধান। এই শীর্ষকে আরও একটি ব্যতিক্রমী আয়োজনের সাক্ষী হল বিশালগড়বাসী। এলাকার বয়োজ্যষ্ঠ নাগরিকদের সাথে মত বিনিময় এবং সাথে মধ্যাহ্ন ভোজন গ্রহণ। তরুন বিধায়কের এই উদ্যোগে রীতিমত অবাক এবং উৎফুল্ল বিশালগড়ের বয়ষ্ক নাগরিকরা। তাঁরা বলেন এই বয়সে যখন নিজের সন্তানেরা ঠিকমত খোজখবর নেয় না, সেখানে এলাকার বিধায়ক তাদের খোঁজ করেছেন এটাই তাদের কাছে আনেক বড় পাওনা। বরাবরই নিজের ব্যতিক্রমী চিন্তাভাবনা এবং কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিমন্ডলে নিজের এক অনন্য নজির রেখে চলেছেন তরুণ বিধায়ক সুশান্ত দেব। এর আরও একটি অধ্যায় রচিত হল রবিবার বিশালগড় টাউনহলে।

অনুষ্ঠানে আগত বরিষ্ঠ নাগরিকরা এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে বিধায়কের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। সকলেই বিধায়কের কাজের স্পৃহাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। নিজেদের আলোচনার মাধ্য দিয়ে বিশালগড়ের ইতিহাস এবং বর্তমানের তফাত দেখিয়েছেন অনেকে। আর সেই পার্থক্য অবশ্যই উন্নয়নের। নিজের আলোচনায় বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন ‘আপনারা সবাই আমার কাছে বটবৃক্ষ, আর আমি আপনাদের তলে এসেছি ছায়ার সন্ধানে’। বিধায়ক বলেন নেশা এবং বাল্যবিবাহের মতই সমাজের অভিশাপ বৃদ্ধাশ্রম। বৃদ্ধ বয়সে কোন পিতা মাতার ঠিকানা যেন বৃদ্ধাশ্রম না হয়। বৃদ্ধাশ্রম মুক্ত সমাজের কামনা করেছেন বিধায়ক। এরই সাথে বিধায়ক বলেছেন ‘আমি সর্বদা বিধায়ক থাকবো না, কিন্তু তখনো যাতে আপনারা আমাকে ভালবাসার সহিত স্মরণ করেন আমি সেরকম কাজ করে যেতে চাই’।

আলোচনা এবং মত বিনিময়ের শেষে নিজে উপস্থিত থেকে অভিভাবকদের মধ্যাহ্ন ভোজন করিয়েছেন তরুন এই বিধায়ক।

ব্যতিক্রমী এই আলোচনা সভায় বিধায়কের পাশে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সিপাহীজলা জেলা উত্তর সভাপতি বিপ্লব চক্রবর্তী, মণ্ডল সভাপতি তপন দাস, পুর প্রধান অঞ্জন পুরকায়স্থ, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন অতসী দাস, জিতেন্দ্র সাহা, রতন দেব প্রমুখ। বিধায়কের এই উদ্যোগে বিশালগড়ের প্রতিটি বুথ থেকে আগত বয়োজ্যাষ্ঠ নাগরিকরা ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। অনেকেই বিধায়ককের মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করেছেন।

