আগরতলা ঃ শিলং-এ উত্তর পুর্ব পরিষদের সুবর্ন জয়ন্তির অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যে আসতে ঘন্টা দুয়েক দেরি হয় প্রধানমন্ত্রীর। কানায় কানায় পুর্ণ আস্তাবল ময়দানে সম্বোধন করতে গিয়ে প্রথমেই বিলম্বের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিলেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর শুরু করেন তার বক্তব্য। এর আগে আগরতলা বিমান বন্দরে নামার পর বিমান বন্দর থেকে আস্তাবল মাঠ পর্যন্ত রাস্তাজুরে ছিল সাধারন মানুষের উপচে পড়া ভীড়। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে রাস্তায় ছিল ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারন জনগন। দীর্ঘ রাস্তাজুড়ে রাজ্যবাসীর আবেগ গ্রহন করে বিকেল প্রায় সাড়ে চারটে নাগাদ আস্তাবলের মঞ্চে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের কৃষ্টি সংস্কৃতির সাথে জড়িত রিসা পরিয়ে বরন করেন প্রধানমন্ত্রীকে। রাজ্যের চিরাচরিত কারুশিল্প বাশের তৈরী একটি মুর্তি স্মারক রুপে তুলে দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে। এরপর রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (গ্রামিণ) ১,৫১,০১৯ জন এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (আরবান) ৫৪,৫২৬ জন রাজ্যবাসীর গৃহপ্রবেশের সাক্ষী হন প্রধানমন্ত্রী। তারই সাথে আনন্দনগরে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ইনস্টিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্ট বিল্ডিং , ৮ নং জাতীয় সড়কে আমতলী থেকে খয়েরপুরের বাইপাস সড়কের প্রশস্তিকরন প্রকল্প, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহার প্রচেষ্টায় কেন্দ্র সরকার অনুমোদিত রাজধানীর আইজিএম হাসপাতালের নতুন বিল্ডিং এ রাজ্যের প্রথম ডেন্টাল কলেজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। মঞ্চ থেকেই গ্রামীণ সড়ক যোজনায় ২৩২ কিলোমিটার এবং ৫৪২ কিলোমিটারের ১১২ টি রাস্তার প্রজেক্টের শুভ সূচনা হয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে । তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন আগে ত্রিপুরার উল্লেখ শুধুমাত্র নির্বাচন এবং সন্ত্রাসের কারনেই হত , আর এখন ডাবল ইঞ্জিন সরকারের কারনে স্বচ্ছতা এবং উন্নয়নের জন্য রাজ্যের নাম নেওয়া হয়। তারই সাথে রাজ্যের জনজাতি অংশের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্যও তিনি তার বক্তব্যে তার সময়কালে জনজাতি উন্নয়নের বাজেট ২১ হাজার কোটি থেকে বাড়িয়ে ৮৮ হাজার কোটি টাকা করা হয়। তবে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে নতুন প্রকল্পের আভাস থাকলেও তা কিন্তু মিলল না সোমবার। প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের জন্য নতুন কোন প্রকল্পের ঘোষোনা করেননি। তারই সাথে রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন বিষয় যেমন ১০৩২৩, চুক্তিবদ্ধ কর্মচারী সহ বিভিন্ন বিষয়ের উল্লেখ ছিল না প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে।