উদয়পুরঃ স্ত্রী হত্যাকারী স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সাথে অর্থদণ্ডের ঘোষণা আদালতের। দীর্ঘ ১২ বছর পূর্বে পি আর বাড়ি থানার অন্তর্গত রাধানগর এলাকার বাসিন্দা ভুবন দে এর মেয়ে ঝর্না দে এর সাথে সামাজিকভাবে বিবাহ হয়েছিল উদয়পুর রাধাকিশোরপুর থানাধীন টেপানিয়া এলাকার জগদীশ চন্দ্র ঘোষের ছেলে রূপক ঘোষের । বিবাহের পর তাদের ঘরের দুটি সন্তানের জন্ম হয়। বছর পাঁচেক তাদের সংসার ভালোই চলছিল। এরই মধ্যে অভিযুক্ত রূপক ঘোষ তার স্ত্রী ঝর্না দে-র উপর পারিবারিক ঝামেলা নিয়ে সর্বদাই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে । যা স্থানীয় পঞ্চায়েতে পর্যন্ত গড়ায়। 2020 সালের ২২শে বিকাল চারটা নাগাদ পাষন্ড স্বামী রূপক ঘোষ স্ত্রীর সাথে ঝগড়া শুরু করে। একটা সময় ঘাতক স্বামী রূপক ধারালো দা দিয়ে স্ত্রী ঝর্ণার মাথা, হাত ও গালে এলোপ্যাথিরে কোপাতে থাকে। সেই ঘটনায় ঝর্নার মৃত্যু হয়। পরে ঝর্ণার পিতা ভুবন দে অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে রাধাকিশোরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রাধাকিশোরপুর থানায় মামলা নম্বর ১৫১/ ২০২০ । ধারা ৪৯৮(এ) /৩০২/ ৩৪ আইপিসি। পুলিশ মামলা হাতে নিয়ে পলাতক স্বামীকে গ্রেপ্তারের জন্য খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। অবশেষে ২০২০ সালের ৩রা ডিসেম্বর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেন এবং সমস্ত তদন্তকার্য শেষ করে কোর্টে চার্জশিট দাখিল করেন। উদয়পুর জেলা আদালতে ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য বাক্য গ্রহণ করেন, এবং দীর্ঘ শুনানির পর উদয়পুর জেলা আদালতের প্রধান বিচারপতি আশুতোষ পান্ডে গত ৮ ই আগস্ট অভিযুক্ত ঘাতক স্বামী রূপক ঘোষ কে দোষী সাব্যস্ত করে জুডিশিয়াল কাস্টিডিতে নেন।
পরে বৃহস্পতিবার মামলার রায় ঘোষণা করেন। ৩০২ আইপিসি ধারায় অভিযুক্ত ঘাতক স্বামী রূপক ঘোষকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয় । এছাড়া ৪৯৮ (এ) আইপিসি ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো একমাসের সাজা ঘোষণা করেন।