বিলোনিয়াতে নিশি কুটুম্ব এবং নেশাখোরদের দৌরাত্ম অনেকটাই বেড়ে গেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ এলেও আরক্ষা প্রশাসন মাঝে মধ্যে দু-একজনকে আটক করতে পারলেও বিষয়টাকে কোনমতেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। এই নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে জনগণ এবং উঠতি বয়সের সন্তানদের মা-বাবা। সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিটি জায়গাতেই চোরের দল হানা দিচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না বিভিন্ন মন্দির এবং দেব প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এত চুরির জিনিসপত্র যাচ্ছে কোথায়? কে চোরেদের সর্দার? এই খুঁজতে তৎপরতা শুরু করেছে এলাকার কিছু শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ এবং যুবকেরা। আজ বেলা প্রায় বারোটা নাগাদ একদল যুবক হানা দেয় বনকার ঘাট এলাকার পুরানো জিনিস ক্রেতা মানিক চক্রবর্তীর দোকানে। ওনার মালের গোডাউনে হাতেনাতে ধরে ফেলে প্রদীপ দাস এবং অনুপ দেবনাথ নামে দুই চোরকে। বিলোনিয়া শহরের করুণা রায় কলোনি এলাকায় দুজনেরই বাড়ি। এদের মধ্যে থেকে অনুপ দেবনাথের কাছে কিছু নেশার কোটা পাওয়া যায়। সে জানায় এই কোটাতে থাকা ব্রাউন সুগার সে নেশা করে। সে আরো জানায় এই নেশাকারবারিরা হলো বিলোনিয়া থানাধীন আমজাদনগর এলাকার সিতাই মজুমদার এবং সাড়সীমা এলাকার বাসিন্দা রাকেশ সরকার। যদিও এদের নাম নেশা কারবারি হিসেবে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। কিন্তু সবকিছু জানা সত্ত্বেও কোন এক অজ্ঞাত কারণে নীরব রয়েছে বিলোনিয়া এবং দক্ষিণ জেলার পুলিশ। জনগণ এই চোরেদের সাথে আটক করে দোকানের মালিক মানিক চক্রবর্তীকে। তিনি হলেন চোরদের সর্দার। তিনি চোরেদের চুরি করার জন্য উৎসাহ দেন। আর তার জন্য সব রকমের চুরির মাল ওনার কাছে এনে বিক্রি করে চোরেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিলোমিয়া থানার পুলিশ। পুলিশ সমস্ত কিছু দেখে মানিক চক্রবর্তীর চুরির মালের পুরো গোডাউন সিল করে দিয়ে যায়। বিভিন্ন অফিসের ফ্যান এসি মেশিন এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে মোটর থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী রয়েছে। জনগণের অভিযোগ চোরের সর্দার এই মানিক চক্রবর্তীর ইন্ধনেই শহরে চোরের দল সক্রিয় রয়েছে। শুধু সরকারি সামগ্রী নয় বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পূজা করার সামগ্রীও রয়েছে। যদিও জনগণের এই অভিযোগ কে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে মানিক চক্রবর্তী। উনার দাবি সবাই পুরনো ভাঙ্গাচুরা জিনিস এনে উনার কাছে বিক্রি করে, এছাড়া বিভিন্ন অফিসের সরকারি জিনিসপত্র গুলি তিনি নিলামে ক্রয় করেছেন। যদিও এই বিষয়ে তিনি কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তবে চোরেদের তিনি উৎসাহ দেন এই বিষয়ে নিশ্চিত উপস্থিত সকলে। সকলের দাবি মানিক চক্রবর্তীকে যেন গ্রেপ্তার করা হয়। কেননা দীর্ঘদিন ধরেই তিনি এই ধরনের পেশার সাথে যুক্ত রয়েছেন। এখন দেখার বিষয় পুলিশ এই বিষয়ে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।