স্বাস্থ্যঃ কোলেস্টেরলের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। অনেকের ধারণা, চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খেলেই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। সব ক্ষেত্রে এ ধারণা ঠিক নয়। আসলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে কি না, তা নির্ভর করে প্রত্যেকের শরীরের বিপাকহারের উপর। কারও যদি ডায়াবিটিস থাকে, তা হলেও কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা রক্তবাহের মধ্যে জমা হতে থাকে। রক্তবাহগুলিকে সরু ও শক্ত করে ফেলে। তাই রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে রক্তচাপ বাড়ে এবং তার সঙ্গে সঙ্গে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। শরীরে কোলেস্টেরলের চোখরাঙানি বাড়লে জীবনধারায় কিছু বদল আনতেই হবে।
এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা ভিটামিন ই যুক্ত খাবার বেশি খাওয়া, ডায়েটে সলিউব্ল ফাইবার বেশি মাত্রায় রাখা, ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাসে রাশ টানার পরামর্শ দেন। তবে রোজের ডায়েটে এমন এক পানীয় রাখা যায়, যা নিয়মিত পান করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
এ ক্ষেত্রে মুশকিল আসান করতে পারে অ্যাপ্ল সিডার ভিনিগার। এতে থাকা পেকটিন খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ২০০৫ সালে জাপানিজ় সোসাইটি অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্সের একটি গবেষণা অনুযায়ী, প্রতি দিন দুই-তিন টেবিল চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগার কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
অ্যাপল সিডার ভিনিগার: ১ কাপ
লেবুর রস: ১ কাপ
আদার রস: ১ কাপ
রসুনের রস: ১ কাপ
মধু: পরিমাণ মতো
কী ভাবে বানাবেন
সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে আধ ঘণ্টা ফুটিয়ে নিন। এ বার মিশ্রণটি ৪ কাপ থেকে কমে ৩ কাপ হয়ে এলে গ্যাস বন্ধ করে মিশ্রণটি ঠান্ডা করে নিন। কাচের শিশিতে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন।
কতটা খাবেন
রোজ সকালে খালি পেটে এক চামচ এই মিশ্রণটি খেতে পারেন।
কী ভাবে কাজ করে
অ্যাপল সিডার ভিনিগার: ইনসুলিন, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণে রাখে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়।
আদা: কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
রসুন: রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়, কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণ করে।
মধু: রক্তবাহিকায় কোলেস্টেরল জমা হতে বাধা দেয়।