কল্যাণপুর ঃ
পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থার মুখে একপ্রকার ঝামা ঘসে দিয়ে একই রাতে কল্যাণপুর থানাধীন ঘিলাতলী গ্রাম পঞ্চায়েতের পালপাড়া গ্রামে এবং পশ্চিম ঘিলাতলী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মণিপুরী বস্তির ছয়-ছয়টা বাড়িতে চোরের দলের হানা,বাদ যায়নি গ্রাম প্রধানের বাড়িও।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে ঘিলাতলি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আরতি বালা বিশ্বাস জানান অন্যান্য দিনের মতো রাতের খাওয়া দাওয়া এবং আনুষাঙ্গিক কাজকর্ম শেষ করে আনুমানিক রাত ১০ টার কিছু পর ঘুমিয়ে পড়েন তারা। হটাৎ রাত আনুমানিক দেড়টা নাগাদ তিনি নাকি দেখতে পান ঘরের দরজা জানালা(মাটির ঘরের জানালা) খুলা রয়েছে এবং ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো। ঘটনা বুঝতে পেরে উনি উনার ছেলে সহ পড়শিদের ডাক দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হয় যে চুরি কান্ডের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি শ্রীমতি বিশ্বাস দাবি করেন যে চোর উনার ঘরের মধ্যে রাখা ট্রাঙ্কের কিছু কাগজপত্র নিয়ে যায় এবং অবশিষ্ট কিছু কাগজপত্রসহ বেশ কিছু কাপড় বাইরে ফেলে দিয়ে গা ঢাকা দেয়। প্রধানের বাড়ি থেকে ২০ থেকে ৩০ মিটার দুরবর্তী বিজয় দেবনাথ, পিতা মৃত মনোরঞ্জন দেবনাথের ঘরেও একই কায়দায় চুরের দল হানা সংঘটিত করে। এই বিষয়ে বিজয় বাবু আমাদের সাথে কথা বলতে গিয়ে জানান চোরের দল উনার ঘরেও একই কায়দায় জানালা দিয়ে প্রবেশ করে ঘরে রাখা উনার এক নিকট আত্মীয়ের (শ্যালকের) মোবাইল ফোন সহ মানি বেগে রাখা হাজার খানেক টাকা নিয়ে চলে যায়, এক্ষেত্রেও চোরের দল কিছু কাগজপত্র সহ কিছু কাপড় ঘরের বাইরে ফেলে গা ঢাকা দেয়। এলাকাবাসীদের অভিমত হচ্ছে পালপাড়ার মত জনবহুল এলাকায় কখনো এরকম চুরি-কাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি । হঠাৎ করে এই চুরির ঘটনা কিভাবে ঘটলো বা কেন ঘটল তা নিয়েই এখন জোর চর্চা চলছে।
অন্যদিকে একই থানাধীন পশ্চিম ঘিলাতলী গ্রাম পঞ্চায়েতের মনিপুরী বস্তি এলাকার জনবহুল চার চারটা বাড়িতে চোরের দলের হানা ব্যাপক আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলোতে গিয়ে দেখা গেল প্রত্যেকেই অভিযোগ করছেন কারো বাড়ি থেকে মোবাইল, কারো বাড়ি থেকে ব্যবহারের দা কিংবা কিছু সাধারণ জিনিসপত্র হাতিয়ে নিয়েছে চোরের দল। অর্থাৎ এই বিষয়টা পরিস্কার চোরের দলের হানা সংঘটিত হলেও বড় রকমের চুরির ঘটনা সংগঠিত হয়নি, তবে ঘিলাতলির পালপাড়া কিংবা পশ্চিম ঘিলাতলির মতো জনবহুল এলাকায় এভাবে চুরি কাণ্ডের ঘটনাগুলো কিন্তু নিঃসন্দেহে আতঙ্কের। পশ্চিম ঘিলাতলির যে সমস্ত বাড়িগুলোর মধ্যে চুরির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে সেই সমস্ত বাড়ির গৃহকর্তারা হলেন-
১) রমেন দেবনাথ, পিতা – মৃত রমেশ দেবনাথ।
২) দ্বিগেন্দ্র দেবনাথ, পিতা মৃত সুরেন্দ্র দেবনাথ।
৩)শ্যামল দেবনাথ, পিতা পরিমল দেবনাথ।
এখন দেখার বিষয় আগামী দিনে এলাকার সাধারণ মানুষের জান মাল সহ জীবনের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানের স্বার্থে পুলিশ কতটুকু সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করে। ঘটনার খবর পেয়ে কল্যানপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।