ধর্মনগরঃ ত্রিপুরা রাজ্যের মধ্যে কালীপূজা নিয়ে উদয়পুর এবং ধর্মনগরের সুনাম রয়েছে। ধর্মনগরে এই কালীপূজা চলে চার থেকে পাঁচ দিন ধরে। রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে এমন কি পার্শ্ববর্তী রাজ্য আসামের বরাক ভ্যালি থেকে দলে দলে লোক সারা রাত ধরে ধর্মনগরে কালী পূজা দেখে ভোরবেলা ট্রেনে করে যে যার গন্তব্যস্থলে পুনরায় চলে যায়। তাই রাজ্যজুড়ে ধর্মনগরের কালী পূজার একটা বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। এই কালীপূজাকে সুষ্ঠু সুশৃংখল এবং শান্তিপূর্ণ রাখতে প্রশাসন জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন ক্লাবের কর্মকর্তাদের নিয়ে বুধবার ধর্মনগরের বিবেকানন্দ সার্ধ শতবার্ষিকী ভবনে এক বিশেষ আলোচনা চক্র অনুষ্ঠিত হয়। এই আলোচনা চক্রে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, উত্তরের জেলাশাসক ও সমাহর্তা দেবপ্রিয় বর্ধন,জেলা পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী,ধর্মনগর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন প্রদ্যুৎ দে সরকার সহ ধর্মনগরের বিভিন্ন ক্লাবের সভাপতি,সম্পাদক ও কর্মকর্তারা। এবার দুর্গা পূজার মতো কালী পূজাতে ও ধর্মনগরে নো এন্ট্রি থাকবে বলে জানানো হয়। দুর্গাপূজাতে যে যে জায়গায় নো এন্ট্রি পয়েন্ট বসানো হয়েছিল সেইসব জায়গায় নো এন্ট্রি পয়েন্ট কালী পূজাতে ও অব্যাহত থাকবে। অধ্যক্ষ প্রতিটি ক্লাবের কাছে আবেদন জানান,যাতে প্রচুর জনসমাগম হবে তাদের সুবিধার্থে দুটি পুরুষদের জন্য এবং দুটি মহিলাদের জন্য শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা হয়। পরিবেশকে শান্তিপূর্ণ এবং সুশৃংখল রাখতে ক্লাবগুলি যাতে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তাছাড়া যেসব বড় বাজেটের ক্লাবগুলি কালী পূজায় ব্রতী হয়েছে তারা যেন বাজেট থেকে একটা অংশ ক্লাবে রেখে দেয় যা দিয়ে এলাকার বা আশপাশের অসুস্থ বিপন্ন মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসা যায়। কারণ অসুস্থতার কারণে হঠাৎ করে বেশ টাকার দরকার হয়।
তখন একটি বা দুটি ক্লাব এগিয়ে আসলে সাময়িকভাবে টাকার যোগান হয়ে যায় এবং অসুস্থ রোগী বহিরাজ্যে গিয়ে বেঁচে যায়। তাছাড়া নেশা জাতীয় দ্রব্য বর্জনের প্রতি আবেদন জানান অধ্যক্ষ। ডিজে সাউন্ড সিস্টেম প্রত্যাহার করার জন্য প্রতিটি ক্লাবের কাছে যেমন করে দুর্গা পূজার আগে আবেদন জানিয়েছিলেন আবার কালী পূজার আগে তিনি আবেদন জানান।