কৈলাশহরঃ
১৬ সেপ্টেম্বর কৈলাসহরের ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে উদ্বোধন হয়েছে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও এর অঙ্গ হিসেবে জেলা ভিত্তিক কিশোর উৎকর্ষ মঞ্চ অনুষ্ঠান। শিক্ষা দপ্তরের সমগ্র শিক্ষার উদ্যোগে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ত্রিপুরা সরকারের সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, সহকারি সভাধিপতি শ্যামল দাস, অতিরিক্ত জেলাশাসক সজল বিশ্বাস, ডি আই এস ই বিদ্যাসাগর দেববর্মা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা শিক্ষা আধিকারিক প্রশান্ত কিলিকদার। তিনি বলেন কিশোরীদের উৎকর্ষ বৃদ্ধির জন্যই এই অনুষ্ঠান। আজকের এই অনুষ্ঠানে জেলার মধ্য থেকে ৫০ জন ছাত্রীকে চিহ্নিত করা হবে। যারা আগামীকাল তাদের নিজেদের জীবনের সাফল্যের কাহিনী তুলে ধরবে। মন্ত্রী টিংকু রায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও স্লোগানটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হরিয়ানার একটি শহর থেকে তুলেছিলেন। এই অনুষ্ঠানটি যুব ভারত তৈরিতে সাফল্য আনবে। যা ভারতকে বিশ্বগুরু তৈরি করতে সাহায্য করবে। আগে আমরা কোন জিনিসের জন্য অন্য দেশের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। বর্তমানে মেট্রো থেকে যুদ্ধ বিমান সবকিছু এই দেশের ইঞ্জিনিয়াররা তৈরি করছেন। মহিলাদের ছাড়া দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। আগে আগরতলা কিংবা ত্রিপুরা থেকে অন্যান্য রাজ্যে গেলে আমাদের রাজ্যের নাম বললে অনেকেই চিনত না। বর্তমানে দীপা কর্মকারের মতো মেয়েদের কারণে আজ সারা বিশ্ববাসী আমাদের রাজ্যকে চিনে। কারগিল যুদ্ধে এক মহিলা আহত ও নিহত প্রায় ৯০০ জনকে উদ্ধার করে। সমাজে মহিলাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।