ধনপুরঃ
ধনপুরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় যে সমস্ত ক্ষেত্রে কমতি রয়েছে সে বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে অবগত করবেন বাম বিধায়করা। বৃহস্পতিবার ডেঙ্গু আক্রান্ত ধনপুর ঘুরে এসে সোনামুড়ার দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক স্মেলন করে একথা জানিয়েছেন ৪ সদস্যক বাম বিধায়ক দল।
ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে ধনপুরে। এরই মধ্যে আজ ডেঙ্গু কবলিত ধনপুর সফর করেছেন বাম বিধায়কদের ৪ সদস্যক এক প্রতিনিধি দল। দলে ছিলেন সোনামুড়ার বিধায়ক শ্যামল চক্রবর্তী ,বড়জলার বিধায়ক সুদীপ সরকার ,প্রতাপগড়ের বিধায়ক রামু দাস এবং বামুটিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নারায়ন সরকার। তারা ধনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে কথা বলেন ভর্তি থাকা রোগী ,চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীদের সঙ্গে। সে সাথে যান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়া সুভাষ সরকারের বাড়িতে। সমস্ত দিক পর্যবেক্ষণ করে বাম বিধায়কদের অভিমত মূলত গত মাসের ১৩ তারিখ থেকেই এই জ্বর নিয়ে রোগীরা আসা শুরু করেছিল ধনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ১৯ থেকে ২২ তারিখের মধ্যে তার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এখন প্রায় প্রতিদিন ৫০ জনের মতো জ্বরের রোগী হাসপাতালটিতে আসছেন। তাদের প্রায় ৭০ শতাংশ ডেঙ্গু আক্রান্ত। সাংবাদিক সম্মেলনে বাম বিধায়করা বলেছেন রোগীর চাপের তুলনায় পরিকাঠামোর পাশাপাশি স্বাস্থ্য কর্মী এবং সাফাই কর্মীদের সংকট রয়েছে ধনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে। যে যে বিষয়ে ঘরটি আছে এই বিষয় গুলি নিয়ে তারা কথা বলবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাথ্য মন্ত্রীর সঙ্গে। বিধায়ক সুদীপ সরকার দাবি তুলেছে ডেঙ্গু যেন সেই সংশ্লিষ্ট এলাকার বাইরে ছড়িয়ে না পরে সেইদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে সরকারকে ।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিধায়ক শ্যামল চক্রবর্তী বলেছেন ডেঙ্গুকে কেন্দ্র করে ধনপুর এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারোর বাড়িতে কোন ব্যক্তির জ্বর হলে সেই বাড়িটির মানুষজনদের সঙ্গে মেলামেশা করতে চাইছেন না অন্যরা। এই অবস্থায় ডেঙ্গু নিয়ে এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
গেলো বিধানসভা নির্বাচনে ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েও শপথ গ্রহণের আগে নিজের পদ ছেড়েদেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। এই কারনে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ঘোষণা হতে পারে ধনপুর কেন্দ্রের উপ-নির্বাচন। বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলেও তাতে কোন আপত্তি নেই বামেদের। সংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে একথা জানিয়েছেন বাম বিধায়করা। তাদের মতে ডেঙ্গু থাবা বসিয়েছে ধনপুরের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায়। তাই নির্বাচন হতেই পারে। কারন নির্বাচন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।