বিশালগড়ঃ
প্রতিটি ছাত্রের সমান গুরুত্ব, সামনের বেঞ্চে বসা প্রথম সারির হোক কিংবা ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসা অপেক্ষেকৃত দুর্বল ছাত্রটি হোক। সমাজ গঠনে এদের প্রত্যেকেরই সমান ভূমিকা। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাও সেই কথাই বলে। আর সেই দর্শনকে মাথায় রেখেই আবারও ব্যতিক্রমী উদ্যোগ বিশালগড়ের ব্যতিক্রমী বিধায়কের। এবছর ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা এবং কেন্দ্রীয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের সম্বর্ধনা জানানো হয় বিশালগড়ে। চিরাচরিত ধারায় শুধুমাত্র প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ কৃতিদের নয় , জীবনের প্রথম দুটি কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে শুভেচ্ছা জানানোর উদ্যোগ গ্রহন করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব।
“উত্তরসূরি”- শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আগামী প্রজন্মকে, বিশালগড় তথা এই রাজ্যের উত্তরসূরিদের পথ প্রদর্শকের ভূমিকা গ্রহণ করেন বিধায়ক। বিশালগড় বিধানসভা কেন্দ্রের মোট ২৩ টি বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিকে ৮২৭ এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ৮৩৩ জন অর্থাৎ সর্বমোট ১৬৬০ জন ছাত্রছাত্রীদের এদিন সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিশালগড়ের টাউন হলে এদিন এই অভিনব অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা বিধায়ক নিজে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক তথা রাজ্যের বিশিষ্ট সমাজসেবী রাজীব ভট্টাচার্জী বলেন এই ধরনের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।
বিধায়ক নিজে বলেছেন তিনিও একজন পেছনের সারির ছাত্র হয়েও সকলের আশীর্বাদ এবং নিজের আত্মবিশ্বাসে আজ বিধায়ক হয়েছেন। তার পাশাপাশি দেশে স্বচ্ছ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গঠনে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন রাজীব ভট্টাচার্যী। অনুষ্ঠানে অনুপ্রেরণাসূচক বক্তব্য রাখেন রাজ্যের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অভিজিত ভট্টাচার্যী। তিনি ছাত্রছাত্রীদের অত্মবিশ্বাসী এবং পরিশ্রমী হবার কথা বলেন। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা তথা প্রধান অতিথি বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন প্রত্যেককে তার প্রতিভা অনুসারে পথ বাছাই করা প্রয়োজন। সবাই ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার নাই হতে পারে, কিন্তু নিজেকে নিজের প্রতিভা অনুসারে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এদিনের এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ব্যপক উৎসাহ এবং উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়। অনুষ্ঠানের শেষে প্রিয় বিধায়কের সাথে সেলফি তুলতে ব্যস্ত দেখা যায় ছাত্রছাত্রীদের।