তেলিয়ামুড়াঃ
সত্যতা যাচাই না করে বিদ্যুৎ নিগমের কর্তব্যরত দুই কর্মীকে পুলিশী হেনস্থা, রাতভর থানায় আটক এবং পরবর্তী সময়ে নিঃশর্তে মুক্তি প্রদান, এবং এরপর গোটা বিষয়কে কেন্দ্র করে নিগমের কর্মীদের কর্মবিরতি সহ থানায় সম্মিলিত বিক্ষোভ প্রদর্শন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়,,, মঙ্গলবার রাতে একটি ফোন কলের অভিযোগের ভিত্তিতে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ নিকটবর্তী বিদ্যুৎ নিগমের কার্যালয়ে কর্তব্য পালনরত ২ কর্মী গোপি বণিক এবং ভানু শব্দকর’কে থানায় আটক করে এনে কোনো তদন্ত ছাড়া গোটা রাত তাদেরকে থানায় বসিয়ে রাখে। বুধবার সকালে পুলিশ যথারীতি মেডিকেল চেকআপ করে আটক দুই কর্মীকে নিঃস্বার্থভাবে ক্ষমা প্রদর্শন পূর্বক থানা থেকে ছেড়ে দেয়।
তবে এই ঘটনা জানাজানি হতেই বুধবার বিদ্যুৎ নিগমে কর্মরত বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয় আর এই ক্ষোভের আবহে তারা সম্মিলিতভাবে কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণ করে থানাতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষোভ জানাতে থাকেন।
ধীরে ধীরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে এই বিক্ষোভ মাত্রা ছড়াতে থাকলে একটা সময় তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশের পক্ষ থেকে গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
গোটা বিষয় নিয়ে তেলিয়ামুড়া থানার ও.সি সুব্রত চক্রবর্তীর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,,, ফোন কলের অভিযোগের উপর ভিত্তি করে পুলিশ মঙ্গলবার রাতে বিদ্যুৎ নিগমের দুই কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেলিয়ামুড়া থানায় নিয়ে আসে। তিনি অপকটে স্বীকার করেছেন, তারা দুজন কেউই মদমত্ত অবস্থায় ছিলেন না। রাতে তাদের কেউ জামিন না করাতে আসার কারণে গোটা রাত তাদের থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল।
এদিকে প্রশ্ন উঠছে পুলিশ ত আইনের রক্ষক! আইনের রক্ষক হয়ে কিভাবে বিনা তদন্তে দুজন দায়িত্বরত কর্মীকে তুলে এনে রাতভর থানায় মানসিক কষ্ট দিতে পারে উর্ধি ধারীরা। এই ঘটনার খবর চাউর হতেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে এখন দেখার বিষয় সংশ্লিষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যাবস্থা গ্রহণ করে, নাকি মৌখিক ক্ষমা প্রদর্শনের মধ্য দিয়েই গোটা ঘটনায় ধামা চাপা পড়ে যায়।