বিলোনিয়া:
গৃহ শিক্ষক কর্তৃক নাবালিকা শ্লীলতাহানি মামলায় রাজনগর জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা।
জেলা পুলিশ সুপারের নিকট ডেপুটেশন, থানা ঘেরাও, পাল্টা মামলা।
রাজনগর পি আর বাড়ি থানাধীন রাধানগর পাল পাড়ার গৃহ শিক্ষক বিশ্বজিৎ চৌধুরীর বিরুদ্ধে শ্রীলতাহানীর মামলাকে ঘিরে চাপা উত্তেজনা দেখা দিয়েছে রাজনগর ব্লক জুড়ে । গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে করা মামলাটি সম্পুর্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন বলে ছাত্রছাত্রী সহ অভিভাবকরা আজ দক্ষিণ জেলা পুলিশ সুপারের নিকট সাক্ষাৎ করে আর্জি জানালেন ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তক্রমে ব্যাবস্থা গ্ৰহনের । তাদের দাবি গৃহশিক্ষক নির্দোষ । পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসানো হয়েছে গৃহশিক্ষককে । উল্লেখ্য গত দুই দিন আগে রাজনগর পিআর বাড়ি থানাতে গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্রীলতাহানীর অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছিলো এক নাবালিকার ছাত্রীর অভিভাবক। অভিযোগ ছিলো গৃহ শিক্ষক বিশ্বজিৎ চৌধুরী ১৩ বছরের নাবালিকা ছাত্রী কে শ্রীলতা হানি করেছে। বিভিন্ন ভাবে গায়ে হাত দিয়েছে। সে অভিযোগে মামলা করার দুই দিনের মধ্যেই রাধানগর এলাকার জনগণ এবং ওই এলাকার বিভিন্ন ছাত্রছাত্রী মিলে বলা যায় ব্যাপক সংখ্যক এলাকাবাসী দক্ষিণ জেলা পুলিশ সুপারের নিকট ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তক্রমে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি নিয়ে হাজির হয় জেলা পুলিশের কার্যালয়ে। তাদের দাবি অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক বিশ্বজিৎ চৌধুরী সম্পূর্ণ নির্দোষ। ওকে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এবং প্রকরান্তে গ্রামবাসীরা ঐ ছাত্রীর পরিবারের দিকেই আঙ্গুল তুলেন, তাদের অবৈধ টাকার রোজগার নিয়ে। সে নাবালিকার মায়ের নামেও এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে বলে জানা যায়। আর এই কারণেই আজকের যে এলাকা বাসীরা প্রথমেই পিআর বাড়ি থানা ঘেরাও করে, পরবর্তী সময় জেলা সুপারের কাছে ডেপুটেশনকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এলাকাবাসীদের দাবি গৃহ শিক্ষক সম্পূর্ণভাবে নির্দোষ। বহু আগে থেকে এই গৃহ শিক্ষক এলাকার বিভিন্ন ছাত্র ছাত্রীর বাড়ি গিয়ে শিক্ষকতা করেন কিন্তু এমন ধরনের কোন রেকর্ড নেই। ওকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে এলাকাবাসীদের দাবি। ছাত্র ছাত্রী এবং অভিভাবকদের দাবি এই গৃহ শিক্ষক বিশ্বজিৎ চৌধুরীকে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয় ও বাইক ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়,গলার স্বর্ণের হার, আংটি, মোবাইল , মানিব্যাগ সব ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ছাত্র-ছাত্রী পক্ষ থেকেও গৃহ শিক্ষকের মারধর এবং বাইক ভাঙচুর স্বর্ণালংকার ছিনতাই এই বিষয়গুলি মিলিয়ে থানায় ঐ পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানা যায়।