তেলিয়ামুড়া: অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর কিছু করে দেখানোর মানসিকতা থাকলে তা হয়তো এই যুবকের কাছ থেকে শেখা যাবে। বর্তমানে এমন আরও অনেক যুবক আছে যারা অদম্য ইচ্ছা শক্তি আর কিছু করে দেখানোর মানসিকতা নিয়ে কিছু না কিছু করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি অন্যদেরও স্বাবলম্বী হওয়ার পথ অনুসন্ধান করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে তেলিয়ামুড়া আর ডি ব্লকের অন্তর্গত ডি এম কলোনি এলাকার চন্দ্র শেখর রায় নামের এক যুবক। এিপুরা রাজ্যের বিলোনীয়া থেকে প্রায় ২০০ টির উপর ড্রাগন ফলের চারা এনে নিজ জমিতে রোপণ করেছিলেন আজ থেকে প্রায় দুই বছর পূর্বে। বর্তমানে সে তার নিজের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে এই ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করে। এই ফলটি বহিঃ রাজ্য তথা পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক ভাবে চাষ করা হলেও এরাজ্যে তেমন ভাবে এই ফলের চাষ হয়না এমনটাই জানায় উদ্দ্যোমি এই যুবক। আর সেই অসম্ভবকে সম্ভব করার তাগিদেই চন্দ্রশেখর তার নিজ উদ্দ্যোগে এই ফলের চাষ শুরু করে। মাঝে চাষের ক্ষেত্রে কিছুটা হোচট খেতে হয় তাকে, তারপরও সে থেকে নেই। বর্তমানে এই ড্রাগন ফলের চাহিদা গগন চুম্বী।উদ্দ্যোমী যুবক চন্দ্রশেখর জানায় বিলোনীয়া থেকে এই ড্রাগন ফলের চারা এনে দুই বছর পূর্বে প্রথম বারের মতো চাষ শুরু করে সে। প্রথমদিকে কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় তাকে, তবে গত বছরের তুলনায় এই বছর এই ফলটির ফলন কিছু ভালো হয়।
তবে সঠিক জলসেচের ব্যাবস্থা না যাকাতে এই চাষে ব্যপক সমস্যা হচ্ছে। অন্যদিকে উদ্দ্যোমী এই যুবক জানায় কৃষি দপ্তরের তরফে কোন সাহায্য সহযোগিতা এখনও পায় নি। নিজ উদ্যোগে সে বিভিন্ন ভাবে পরিচর্যা করে এই ফলের চাষ করে চলছে। তবে সরকারি সুযোগ সুবিধা পেলে হয়তো তার এই ড্রাগন ফলের চাষ আগামী দিনে আরও ভালো ভাবে ফলন হতো। বর্তমান সময়ে দাড়িয়ে উদ্দ্যোমী যুবক চন্দ্রশেখরের চাষ জমির ৭০টি পিলারে মোট ২৮০ টি ড্রাগন ফলের গাছ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ফল চাষাবাদে প্রায় ২ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে সে। উদ্দ্যোমী যুবকের বক্তব্য সরকারি সুযোগ সুবিধা পেলে আরও অনেকটা এগিয়ে যেতে পারে সে। কেননা ডি এম কলোনি এলাকাটি তেলিয়ামুড়া শহর থেকে খানিকটা টিলা ভূমিতে অবস্থান করায় প্রতিনিয়ত জলের সমস্যায় পড়তে হয়। আর সেই কারণে চন্দ্রশেখর চাইছে সরকারিভাবে উন্নত জলের ব্যবস্থা এবং প্রে মেশিনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক, যাতে করে সে আগামী দিনে এই ড্রাগন ফল চাষে আরো অনেকটা এগিয়ে যেতে পারে। এখন দেখার উদ্যমী যুবক চন্দ্রশেখরের পাশে সরকার কতটা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।