উত্তর জেলাঃ একদিনের জন্য উত্তর জেলা সফরে আসলেন যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া,সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা এবং শ্রম দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়। রবিবার সকাল সৌয়া দশটা নাগাদ প্রথমে কদমতলা কুর্তি মন্ডলের চুরাইবাড়ি স্হিত লোকনাথ মন্দিরে আসেন।সেখানে লোকনাথ বাবার অষ্টপ্রহর নামকীর্তন উপভোগ করে আশীর্বাদ নিয়ে মহাপ্রসাদ গ্রহন করেন মন্ত্রী। লোকনাথ মন্দির কমিটির সভাপতি সৌমেন গোস্বামী সহ সকল সদস্যরা মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে বাড়তি আনন্দ পান। তারপর মন্ত্রী চলে যান একই এলাকার মাতা বিশেস্বরী আশ্রমে।সেখানে মাতা বিশেস্বরীকে প্রনাম করে আশীর্বাদ নেন মন্ত্রী।পরে সেখান থেকে সোজা চলে যান কদমতলা কুর্তি মন্ডলে। সেখানে সকল মন্ডল কার্যকর্তাদের নিয়ে দীর্ঘ সাংগঠনিক বৈঠক করেন। পরিশেষে তিনি দক্ষিণ কদমতলা ও ইছাই লালছড়া বাম্বু স্ট্রিক ইন্ড্রাস্ট্রি পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে উদ্বোধনের অপেক্ষামান ইন্ড্রাস্ট্রি দুটি ঘুরে দেখেন মন্ত্রী।পরিশেষে দুপুর দুটোয় মন্ত্রী ধর্মনগরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। এদিকে মন্ত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি সামাজিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে অত্যন্ত পছন্দ করেন।
আর নিমন্ত্রণ পেয়েছেন সেক্ষেত্রে তিনি চুরাইবাড়ি লোকনাথ মন্দির ও মাতা বিশেশ্বরী মন্দিরে আশীর্বাদ দিতে আসেন।তিনি আরো বলেন, মন্ত্রী ছাড়াও প্রদেশ বিজেপি সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন তিনি। সাংগঠনিকভাবে দলকে মজবুত ও শক্তিশালী করতে গোটা রাজ্য ঘুরেন।সেই রুটিনমাফিক কদমতলা কুর্তি মন্ডলে এক সাংগঠনিক বৈঠকে মিলিত হন। এদিকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো,চুরাইবাড়ি লোকনাথ মন্দিরটি ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও পূর্বে এতো ঘটা করে হরিনাম সংকীর্তন হয়নি।এবছর মন্দির কতৃপক্ষ উদ্যোগ নিয়ে অষ্টপ্রহর নামকীর্তনের আয়োজন করেছেন। পাশাপাশি মাতা বিশেস্বরী আশ্রমে এবছর রয়েছে ঘটা করেই হরিনাম সংকীর্তন। অপরদিকে এদিনের মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, কদমতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সুব্রত দেব,কদমতলা কুর্তি মন্ডল সভাপতি রাজা ধর,লোকনাথ মন্দির কমিটির সভাপতি তথা মন্ডলের ৪৮ নং বুধ সভাপতি সৌমেন গোস্বামী,কদমতলা কুর্তি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি দলের বিজীত প্রার্থী দিলীপ তাঁতী সহ অনান্যরা।