তেলিয়ামুড়াঃ
বসন্তের শেষ লগ্নে এক পসলা বৃষ্টিতে কৃষকদের মুখে হাসির প্রতিচ্ছবি পাওয়া গেল। এলাকার কৃষকরা সরকারিভাবে চাষাবাদ করার জন্য সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা ও পাচ্ছে। চাষাবাদ করার জন্য তারা কোন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে না। ঘটনা তেলিয়ামুড়া কৃষি দপ্তরের অধীনে দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই পঞ্চায়েতের কৃষি প্রধান এলাকা হিসেবে পরিচিত ২২ ঘরিয়া। এলাকার কৃষকরা সব সময়ই ঋতুকালীন সবজি চাষাবাদ করে থাকেন। তাই এলাকার গুটি কয়েক কৃষক এবার বরবটি চাষাবাদ করেছেন। আর বসন্তের শেষ লগ্নে দু-এক পশলা বৃষ্টির ছোঁয়া পেয়ে কৃষিজ ফসলের গাছগুলি বাড়বাড়ন্ত। তাই কৃষকরা বেজায় উৎফুল্লিত হয়তোবা এবার ফলন ভালো হবে। এই এলাকার এক কৃষক জানান এই বৃষ্টি চাষাবাদের জন্য বেশ উপকার হবে। তাই স্বাভাবিকভাবেই কৃষক মনে করছে এবার ফলন ভালো হবে লাভের মুখ ও বেশ দেখতে পারবেন। এদিকে তিনি আরো জানান, পর্যাপ্ত পরিমাণে শ্রমিকের অভাব রয়েছে। ফলে কৃষিকাজ করতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে প্রায়শই।
অপরদিকে দক্ষিণ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গোপাল দাস জানান এই পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ১১৩৯ পরিবারের বসবাস। এদের মধ্যে অধিকাংশই কৃষিজীবী। তিনি এটাও জানালেন অধিকাংশ কৃষিজীবীরা সরকারিভাবে সার-বি জ কীটনাশক ঔষধপত্র পাচ্ছে কৃষি দপ্তর থেকে বিনামূল্যে। এছাড়াও এলাকার কৃষকরা কৃষাণ সর্মানিধি পাচ্ছেন। কৃষকরা চাষাবাদ করার জন্য প্রয়োজনীয় জলের যুগানো পাচ্ছে। কারণ কৃষক এদেশের অন্নদাতা বলে বিবেচিত।
তবে কৃষকদের আশানুরূপ ফলন হলে লাভের মুখ দেখবে বলে আশা ব্যক্ত করেন। তবে ক্ষতির সম্মুখীন হলে কৃষকদের পাশে কৃষি দপ্তর সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসে কিনা সেথাই এখন দেখার বিষয়।