ত্রিপুরাঃ সরব প্রচারের শেষ দিনে সবকয়টি দলই তাদের শেষ শক্তি প্রদর্শন করে নিজেদের দাবীদারি প্রকাশ করেছে। ১৬ই ফেব্রুয়ারী রাজ্যের ত্রোয়োদশ বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের আগামী পাঁচ বছরের ভাগ্য নির্ধারন করবে সাধারন জনগন। বিশেষ সাজে সুসজ্জিত বর্নাঢ্য মিছিল করে প্রতি দলের প্রার্থীরাই ভোটারদের আকর্ষিত করার চেষ্টা করেছে। তবে ২০২৩ এর এই নির্বাচনে কোন দলের অবস্থান কোন জায়গায়। ২৩ এর হিসাবে কোন দল এগিয়ে কেইবা পিছিয়ে। কে হবে কিং মেকার। কেই বা হবে কিং । এটাই হচ্ছে প্রতিটি এলাকায় আলোচনার বিষয় বস্তু। চায়ের দোকান থেকে ঘরের ড্রয়িং রুম সবখানেই একই আলোচনা। নির্বাচন দপ্তরের বিধি অনুযায়ী অপিনিয়ন পোলে নিষেধ থাকলেও আমরা এই প্রতিবেদনে তুলে ধরব রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের ধারনা। ২০২৩ এর নির্বাচন রাজ্যের নির্বাচনী প্রেক্ষাপটে এক নতুন নজির স্থাপন করল। একদিকে চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল একসাথে মিলে গনতন্ত্র বাচানোর লড়াইয়ে ব্যাস্ত , আবার অন্যদিকে রাজ্যে প্রথমবারের মত ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য মাঠে নেমেছে বিজেপি। আর নতুন ক্যাসেটে পুরোনো গান বাজিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবীতে লড়ছে আরও একটি আঞ্চলিক দল। তবে এই নির্বাচনে সাধারন মানুষ কোন দিকে। কার কথায় বিশ্বাস রাখবে আম জনতা। একদিকে পাঁচ বছরের উন্নয়ন নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর প্রদান, অটল জল্ধারা যোজনায় জলের ব্যবস্থা এবং ভাতা বৃদ্ধি। আর অন্যদিকে বিরোধীরা রাজ্যে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবীতে শাসকের বিরুদ্ধে প্রচার করছে। বিগত পাঁচ বছর রাজ্যের মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের উপর হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে শাসকের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। গতবারের প্রতিশ্রুতির কোনটাই পুরন করেনি বলে দাবী বিরোধীদের। শাসকের দাবী প্রতিশ্রুতির বাইরে গিয়েও কাজ হয়েছে। আর অন্যদিকে রাজ্যের জনজাতিদের জন্য পৃথক রাজ্যের দাবীতে ভোট চাইছে আরো একটি দল। তবে ভোটের অংকের হিসাবে কোন দল কোন স্থানে রয়েছে। ২০১৮ তে কংগ্রসের ভোটের উপর নির্ভর করেই ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। আর এইবার সেই হিসাব বিভক্ত হবে।কারন ২০১৮ র কংগ্রেস এবং ২০২৩ এর কংগ্রেসের মধ্যে বিরাট পার্থক্য। আর অন্যদিকে বিরোধী সিপিএমের ভোট শ্যায়ারে কতটা হানা দিতে পেরেছে শাসক দল। এই প্রশ্ন গুলো কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। তবে শেষ হিসাব করবে সাধারন মানুষ। অন্যদিকে পাহাড় যাচ্ছে কার সাথে। আবারো আবেগে ভেসে বিশ্বাস করবে মহারাজাকে নাকি তথ্যের হিসাবে পাশে থাকবে শাসকদলের। সব মিলিয়ে শাসকের দাবী, বিরোধীদের প্রতিবাদ – কোন দিকে ঘেষবে ত্রিপুরার মানুষ তাঁর জন্য অপেক্ষা আর কয়েকটা দিনের।