তেলিয়ামুড়াঃ
ছাত্র-ছাত্রীদের মিড ডে মিলে মাথাপিছু একটি করে ডিম বরাদ্দ থাকলেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে ছাত্র-ছাত্রীদের ভাগ্যে জুটছে অর্ধেক ডিম। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় চত্বরে ঘটে গেল তুলকালাম কান্ড, ফলে অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সঞ্চার। এও আবার ভোটের মুখে। ঘটনা ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ফুলবাসী দাস পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে।
উল্লেখ্য থাকে,,২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বালুছড়া এলাকায় কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার কথা মাথায় রেখে তাদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষ্যে তৎকালীন বাম আমলে অর্থাৎ ২০০৫-০৬ ইং সর্বশিক্ষা প্রকল্পে নির্মিত হয়েছিল ফুলবাসী দাস পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়টি। এই বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা মোট ৮১জন। প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীই পূর্বে মিড ডে মিলে একটি করে মাথাপিছু আস্ত ডিম পেত। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের সেই মিড ডে মিলের উপর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কু-নজর পড়ে। অভিযোগ,, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল সরকারের নির্দেশে গত দু-সপ্তাহ ধরে ছাত্র ছাত্রীরা মিড ডে মিলে অর্ধেক ডিম পাচ্ছে খাবার হিসেবে। অথচ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক দুলাল সরকার এই বিষয়টি বিদ্যালয় পরিদর্শক’কে অবগত করার প্রয়োজন টুকু মনে করেন’নি। ফলে ছাত্র ছাত্রীদের ভাগ্যে বিগত দু-সপ্তাহ ধরে জুটছে অর্ধেক ডিম। অথচ মিড ডে মিলে ডিমের মূল্য নির্ধারণ করা আছে পাঁচ টাকার উপর। সরকারিভাবে দেওয়া মূল্যের তালিকা’কে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল সরকার বগল দাবা করে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের সাথে মিড ডে মিলের খাবারে প্রতারণা করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। মূলত তেলিয়ামুড়া বিদ্যালয় পরিদর্শক বিশ্বজিৎ দেববর্মা’কে এক প্রকার ঘুমে রেখে ফুলবাসী দাস পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক নিজের মর্জিমাফিক ভাবে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করেছেন। যা আগামী দিনে ছাত্র ছাত্রীদের পুষ্টিগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এমনটা হলে প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক দুলাল সরকার’কে এর দায়ভার নিতে হবে। অন্যদিকে এই বিদ্যালয়ের ব-কলমে একটি এস.এম.সি কমিটিও আছে। যার চেয়ারম্যান হলেন মিহির সরকার। এই বিদ্যালয়ের উন্নয়নের ব্যাপারে কোনো প্রকার মাথা ঘামাতে নারাজ এমনটাই অভিমত ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবক মহলে।