
তেলিয়ামুড়া, ত্রিপুরা ঃ রোমাঞ্চ কেড়ে নিল প্রাণ । জাতীয় সড়কে স্কেটিং করতে গিয়ে প্রান হারাল ১৫ বছরের কিশোর । মায়ের মোবাইলে ধারন হল ছেলের শেষ ভিডিও। কিন্তু এলাকাবাসীদের দাবি অভিভাবকের খামখেয়ালির কারণেই এই হৃদয়বিদারক ঘটনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা তেলিয়ামুড়া শহর জুড়ে শোকের বাতাবরণ বিরাজ করছে। ঘটনার শোকতাপে গর্ভধারিনী মা এবং বাবা অনেকটা বাকরুদ্ধ। মৃত যুবকের নাম দ্বিগবিজয় দাস।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী যুবক তথা মৃত যুবকের সঙ্গে থাকা অপর আরেক “স্কেটার” তার বন্ধু টিপু জমাতিয়া জানায় শনিবার দুপুর আনুমানিক আড়াই (২:৩০) টা নাগাদ বড়মুড়া গ্যাস থার্মাল সংলগ্ন এলাকা থেকে ৮ নং আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক ধরে বড়মুড়া ইকো পার্কের দিকে অর্থাৎ তেলিয়ামুড়ার দিকে “স্কেটিং রাইডিং” করে আসার পথে TR06 2393 নম্বরের একটি যাত্রীবাহী অটোর সঙ্গে সজোড়ে ধাক্কা খায়। এতে দ্বিগবিজয় দাস ঘটনাস্থলে গুরুতরভাবে আহত হয়। অন্যদিকে যাত্রীবাহী অটো গাড়িটি রাস্তার পাশে উল্টে যায়। এই সম্পূর্ণ ঘটনাটি তখন পেছনে থাকা গাড়ি থেকে নিজের ক্যামেরায় ক্যামেরা বন্দি করছিল দ্বিগবিজয়ের মা। পরে সেই গাড়িতে করেই আহত পুত্রকে চিকিৎসার জন্য জিবি হাসপাতাল নিয়ে আসেন। তবে ততক্ষনে মৃত্যু হয় সেই কিশোরের। উল্লেখ্য তেলিয়ামুড়ার নামকরা ঠিকেদার হারান দাসের দুই পুত্র এবং এক কন্যা সন্তান ছিল। মর্মান্তিক বিষয় হল প্রায় ১৬-১৭ বছর পূর্বে সেই হারান দাসের প্রথম পুত্রের যান দুর্ঘটনায় উনার চোখের সামনেই মৃত্যু হয়েছিল। আর দ্বিতীয় পুত্র ঠিক একই ভাবে দুর্ঘটনায় মায়ের চোখের সামনে প্রান হারাল । তবে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা নিয়ে গোটা তেলিয়ামুড়া শহর জুড়ে শোকের আবহ বিরাজ করছে।