
১৮ ডিসেম্বর রাজ্যের প্রায় দুই লক্ষ পরিবারের গৃহ প্রবেশের সাক্ষী হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু বিজেপি সমর্থিত এই পরিবারটি দুর্ভাগ্যবশত সেই তালিকায় নেই। সবকা সাথ সবকা বিকাশের স্লোগান থাকলেও কোথাও না কোথাও সবার বিকাশে সামিল হতে পারছে না সরকার। ত্রিপুরা রাজ্যে বিজেপি শাসন কালে সকল সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকে চির বঞ্চিত বিজেপি সমর্থিত এক পরিবার। ঘটনা উত্তর জেলার ধর্মনগর বিধানসভা কেন্দ্রের রাগনা গ্রাম পঞ্চায়েতের চার নং ওয়ার্ডে। পরিবারের লোকজন থেকে জানা গেছে, তারা বহু পুরনো বিজেপি দল সমর্থিত। বাম আমলে অনেক কষ্ট করে চললেও বিজেপি আমলে মনে করেছিলেন তাদের কপালে এবার হয়তো কিছুটা সুখ ফিরে আসবে। কিন্তু সমস্যা আগের থেকে আরো ভয়াবহ রূপ ধারন করে। বর্তমানে এই পরিবারটি যে মাটির ঘরে বসবাস করছেন সেই ঘরের ছাউনী নেই। রোদ বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ভাড়া করে ত্রিপাল দিয়ে ছাউনী দিয়েছেন বলে জানান পরিবারের বড় ছেলে অজিত পাল। তিনি আরো জানান, বৃদ্ধ মা বাবাকে নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ভাঙা ঘরে বসবাস করছেন তারা। বহুবার স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানিয়েও একটি সরকারী ঘর আজ পর্যন্ত তাদের কপালে জোটেনি। বেশ কিছুদিন আগে মায়ের নামে বন্ধন থেকে ঋণ নিয়ে একটি ঘর তৈরি শুরু করেছিলেন। তার আগে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান দীপ্তি পাল থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা সীতা পাল, ওয়ার্ড মেম্বার নিখিল ও শিপ্রা পাল, বুথ সভাপতি সহ অনেকের কাছে কাতর আবেদন জানিয়েছিলেন একটি সরকারি ঘরের জন্য। অবশ্য সেই সময় পঞ্চায়েত প্রধান তাকে আশ্বস্ত করেছিলেন, বন্ধন থেকে টাকা নিয়ে ঘরটি তৈরি না করার জন্য। পঞ্চায়েতের তরফে তাদেরকে একটি সরকারী ঘর বরাদ্দ করা হবে। সেই মতই কাজ করলেন তারা কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস দেখুন সরকারি ঘরের সুখবরটা এখনো আসেনি। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, সরকারি ঘর পেতে তাকে রেশন কার্ড আলাদা করার জন্য বলা হয়। সেই মোতাবেক পঞ্চায়েতে রেশন কার্ড আলাদা করতে গেলে তার কাছে থেকে পঞ্চায়েতের এক সদস্য নির্মল মালাকার ১৫০০ টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের রেশন কার্ড আলাদা করে দেওয়া হয়নি। তাদের বিপিএল রেশন কার্ড থাকা সত্ত্বেও ঘর না পাওয়ার এই দুঃখ যন্ত্রণা বুকে নিয়ে পরিবারের সদস্যরা সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হন।সাথে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহারা হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সরকার ঘরের ব্যবস্থা করছে গরীব মানুষের জন্য। আর নিচে বসে সেই ঘরগুলি নিয়ে ব্যবসা করছে নেতারা। আর এতে গরীব মানুষ যেমন হতাশায় ভুগছে ঠিক তেমনি সরকার এবং দলের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে সাধারন মানুষ।
