
কদমতলাঃ
প্রশাসনিক চরম ব্যর্থতায় কদমতলাজুড়ে আতঙ্ক। শুনশান কদমতলা।এক আতঙ্কময় নিস্তব্ধতা, যেন পৈশাচিক তান্ডবের এক ধ্বংসলীলার পর ক্ষতবিক্ষত কদমতলা বাজার। রবিবার সন্ধ্যা রাত থেকে ধ্বংস লীলা চালায় এক পক্ষ। এর রেশ কাটতে না কাটতেই সোমবার সকাল থেকে শুরু হয় আরেক পক্ষের পাল্টা আক্রমণ। এক কথায় আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে একেবারে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলো কদমতলা। ঘটনার মূলে রয়েছে চাঁদার জুলুমবাজি। স্থানীয় ইন্ডিয়ান ক্লাবের সদস্যরা একটি গাড়ি আটক করে বল পূর্বক চাঁদা আদায় করতে গিয়েই ঘটে চরম বিপত্তি।যাত্রীদের মারধরের অভিযোগও উঠে ইন্ডিয়ান ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে।এর পর থেকেই সমস্ত বিক্ষিপ্ত এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের হিংস্র রুপ তুলে ধরে একাংশ। তারপর এলাকায় কার্ফ্যু জারি করে প্রশাসন। কিন্তু সেই কার্ফ্যুতে তান্ডব লীলা চলে কদমতলা বাজারে। সন্ধ্যা হতেই উত্তেজিত এক গোষ্ঠী কদমতলা বাজারের রাতভর ধ্বংসলীলা চালায়। ছোট বড় একটি দোকানও রক্ষা পায়নি আক্রমণকারীদের হাত থেকে। মূর্তিপাড়াতেও চলে ভাঙচুর। বেশ কয়েকটি মূর্তি ভাঙচুর করা হয়।তবে জেলা পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তীর ভূমিকায় সবাই নিন্দা প্রকাশ করছেন। প্রশাসনের উপর আক্রমণ চালানোর পর সিআরপিএফ জোয়ানরা টিয়ার গ্যাস ছুড়ে। এরপর বেশ কয়েক রাউন্ড শূন্যে গুলি চালায় এতে ঘটনাস্থলেই সুলতান আহমেদ নামে এক যুবক প্রাণ হারায়। আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়। এরপর ধীরে ধীরে পিছু হটে আক্রমণকারীরা। তারপর এক অজানা আতঙ্কের মধ্যে রাত কাটলেও সকাল থেকেই ফের শুরু হয় আরেক অংশের পাল্টা আক্রমণ। কয়েকটি দোকানে ভাঙচুরের সঙ্গে সঙ্গেই বিশাল পুলিশ, সিআরপিএফ ও টিএসআর বাহিনী বাজারের দখল নেয়। সোমবার সকাল থেকে সমস্ত বাজার একেবারে শুনশান ও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ায় বাজার ব্যবসায়ীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পুজোর প্রাক মুহূর্তে কোটি কোটি টাকার ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে আগামী ৯ অক্টোবর দুপুর বারোটা পর্যন্ত ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে । বর্তমানে নর্দান ডিআইজি জিএস রাও, মহকুমা শাসক, জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন সহ অন্যান্য উচ্চ আধিকারিকরা ময়দানে রয়েছেন। তবে এই ঘটনা অনায়াসেই আটকাতে পারত প্রশাসন। স্থানীয়দের মতে দুপুরের পরই বাজারে অধিক সংখ্যায় সুরক্ষা বাহিনি নামানোর প্রয়োজনিয়তা ছিল। শুধুমাত্র কার্ফ্যু জারি করেই দায় সারতে চেয়েছিল প্রশাসন। যার ফল ভুগতে হয়েছে কদমতলা বাজারের ব্যবসায়ীদের।