ডেস্ক রিপোর্টঃ
অমেঠি থেকে লড়ছেন না রাহুল। খেলার আগেই হার মেনে নিয়েছে কংগ্রেস, কটাক্ষ স্মৃতির। দীর্ঘ জ্বল্পনার পর অমেঠি এবং রায়বরেলি থেকে প্রার্থী ঘোষনা করল কংগ্রেস। তবে অমেঠি নয় রায়বরেলি থেকেই প্রার্থী করা হয় রাহুলকে। তবে ইতিমধ্যেই অমেঠিতে ছোট-বড় দু’শো জনসভা হয়ে গিয়েছে বিজেপির। আগামী ২০মে অমেঠীর ভোট, এর আগে আরও দু’শোটি জায়গায় মানুষের কাছে পৌঁছনোর লক্ষ্য নিয়েই রেখেছিলেন বিজেপির স্মৃতি ইরানি। শুক্রবার গান্ধী পরিবারের কেউ অমেঠী থেকে লড়ছেন না, স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরে গত লোকসভা নির্বাচনের ‘জায়ান্ট কিলার’ স্মৃতি মনে করছেন, এ বারের ভোটে তাঁর জয়ের ব্যবধান আরও বাড়তে চলেছে। স্মৃতির দাবি, গান্ধী পরিবার অমেঠী থেকে রণে ভঙ্গ দেওয়ার অর্থ, কংগ্রেস ভোটের আগেই হার মেনে নিল। দীর্ঘ টালবাহানার পরে কিশোরীলাল শর্মাকে কংগ্রেস অমেঠী থেকে প্রার্থী করেছে।
অতীতে সঞ্জয় গান্ধী, রাজীব গান্ধী, সনিয়া গান্ধী অমেঠী থেকে সাংসদ। ১৯৯৯ সালের পরে এই প্রথম গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ অমেঠীতে কংগ্রেস প্রার্থী। কংগ্রেস নেতৃত্ব দাবি করছেন, গান্ধী পরিবারের কেউ অমেঠী থেকে প্রার্থী হলে সেটা গান্ধী পরিবার বনাম স্মৃতির লড়াই হয়ে উঠত। কিশোরীলাল প্রার্থী হওয়ায় অমেঠীর স্থানীয় সমস্যা নিয়ে ভোট হবে। তিনি রায়বরেলীতে গত কুড়ি বছর ধরে সনিয়া গান্ধীর সংসদীয় প্রতিনিধি ছিলেন।
রাজীব গান্ধীর সময় থেকে গত চল্লিশ বছর ধরে কংগ্রেসের হয়ে অমেঠী-রায়বরেলীতে কাজ করছেন। টানা তিন বার অমেঠী থেকে সাংসদ হওয়ার পরে রাহুল গান্ধী গত লোকসভা ভোটে স্মৃতির কাছে হেরে গিয়েছিলেন। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে রাহুল স্মৃতিকেই ১ লক্ষের বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৯-এ স্মৃতি রাহুলকে প্রায় ৫৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দেন।