আগরতলাঃ
ভগবান ভরসায় চলছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। ষষ্ঠীর দিনেও পরীক্ষায় বসবে শিক্ষার্থীরা । এই আজব কান্ড ভু-ভারতে নজীরবহীন। আর এই নজিরবিহীন ঘটনাকে বাস্তব করে দেখিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। বাঙ্গালীর তথা এই রাজ্যের শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গাপুজা। দূর্গাপুজার কয়েকটা দিন আনন্দে মেতে উঠেন আবালবৃদ্ধবনিতা। তবে শিক্ষা দপ্তর যে মিশন মুডে । নতুন দিশার নামে রাজ্য শিক্ষা দপ্তরকে যে সর্বশ্রেষ্ঠ অসনে অধিষ্ঠিত করতে হবে। আর তাঁর জন্য ষষ্ঠীর দিনে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা রাখার বিষয়ে কোন প্রকার পুনর্বিবেচনা করার প্রয়োজনটুকু বোধ করেননি আমলারা। চলতি বছরের দশম ও দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীরা ষষ্ঠী পুজার দিনেও পরীক্ষা দেবে। আগামী ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী পুজায় সারা রাজ্যে যখন আনন্দে মেতে উঠবে সকলে, তখন গোটা রাজ্যের সরকারী বিদ্যালয়গুলির দশম ও দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষার চিন্তায় থাকবে। এদিন দশম শ্রেনীর বিজ্ঞান এবং দ্বাদশ শ্রেনীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও বায়োলজি পরীক্ষার ব্যবস্থা রেখেছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। এমনিতেই এই দপ্তরে আলাদা মন্ত্রী নেই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজের কাছেই রেখেছেন শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্ব। তবে মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ততার মধ্যে শিক্ষা দপ্তরকে কতটা সময় দিতে পারছেন তা নিয়েই হচ্ছে প্রশ্ন। আর একজন স্বতন্ত্র মন্ত্রীর অভাবে যাচ্ছেতাই ভাবেই চলছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। যার উদাহরণ ষাণ্মাসিক পরীক্ষার এই রুটিন।
শুধু এটাই নয়, ৭-৮ মাস হয়ে গেছে রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিকে এখনো স্কুল গ্র্যান্টের টাকা দেওয়া হয়নি। রাজ্যে সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে বিভিন্ন কাজের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত টাকা এখনো দেওয়া হয়নি বিদ্যালয়গুলিতে। যার ফলে সামান্য চক ডাস্টারের অভাব রয়েছে সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে। এইভাবেই দায়সাড়া ভাবে চলছে শিক্ষা দপ্তর। আর স্বতন্ত্র মন্ত্রী না থাকায় আমলাদের দায়সারা মানসিকতার ফলে পক্ষান্তরে চুরান্ত ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিক্ষার্থীরা।