বিলোনিয়াঃ
কি আইন? কি পুলিশ ? পুলিশের বিরুদ্ধে বিচার চাই। কিসের সরকার? যার আমার ভোনকে হত্যার জন্য চেষ্টা করেছে আমার ভোনের নাবালক ছেলেকে মাররছে তাদের বিরুদ্ধে নাম ঠিকানা দিয়ে মামলা করার পর পুলিশ বলছে নাবালক ছেলেকে মারলে কেইস হয়না এটা কোন দেশের আইন? নাবালক ছেলের সামনে আমি খুন হলে তার সাক্ষি হবে না? তার জন্য অন্য কাউকে সাক্ষি সাজিয়ে আনতে হবে? পুলিশ অপরাধিদের না ধরে এখন বলছে আমার ভোনকে নাকি তার স্বামী মারছে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দিতে কি অরাজগকিঅরাজগতা চলছে! বুধবার মাথায় হাতে রক্ত মাখা বেন্ডিজ লাগানো আক্রান্ত সুস্থ ভোন শুক্লা দেবনাথকে সাথে নিয়ে বিলোনীয়া আদালত চত্তরে প্রকাশ্যে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কথা গুলি চিৎকার করে বলতে থাকেন আক্রান্ত মহিলার ভোন দিপ্তী দেবনাথ। দিপ্তী দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন এই পুলিসে কোন ভরসা নেই তাই অাক্রমনকরি ও পু্লিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে ন্যায় বিচারের জন্য আদালতে এসেছেন। দিপ্তী দেবনাথ যখন কথা গুলিতে বলতে শুরু করেন ঠিক তখই তার অাক্রান্ত ভোন শারীরিক যন্ত্রনায় আদলত চত্তরেই বমি করতে শুরু করে। প্রত্যক্ষ দর্শিরা তা চাক্ষু্ষ করেন এবং বিভিন্ন অাইনজীবি থেকে মক্কেলরা ছুটে এসে সাংবাদিকদের সাহায্যে কোন ক্রমে মহিলাকে সুস্থ করে তোলেন। হত দরিদ্র পরিবারের গৃহ বধু শুক্লা দেবনাথের মাথার ভিতরে অাঘাত লেগেছে তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজ বলে জিবি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান। কিন্তু অার্থিক দূরবস্থার কারণে চিকিৎসা না করেই তাকে বাড়ী ফিরতে হয়। বাড়ী ফিরে ন্যায় বিচারের আসায় এখন কখনো থানায় কখনো আদালতের দড়জার কড়া নারছেন শুক্লা ও দিপ্তী দেবনাথ।
উল্লেখ্য বিলোনীয়া থানার অন্তগত পিপাড়িয়া খলার মা দূর্গা মহিলা সেল্ফ হেল্প গ্রুপে টাঙ্ক বাক্সের হিসাবকে কেন্দ্র করে গত ২৬ অক্টোবর প্রাণঘাতি আক্রমনের স্বীকার গ্রুপের সদস্যা শুক্লা দেবনাথ। মূলত রাজ্যে বিজেপি জোট সরকার ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরই হঠাৎ করে রাজ্যে গ্রাম শহরের মহিলাদের ট্রাঙ্ক বাস্কে টাকা লেনদেনে যুক্ত করার পক্রিয়া শুরু হয়। এবং বিষয়টি ব্লক প্রশাসনের তত্বা বোধানেই নিয়ন্ত্রিত বলে জানা গেছে । আর গ্রামীন মহিলাদের টাঙ্ক বাক্সের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ হওয়ার লক্ষে যুক্ত হয়ে পরে বহু মহিলা। আর টাঙ্ক বাক্সে টাকার হিসাব নিকেশকে কেন্দ্র করেই গত ২৬ অক্টোবর প্রাণঘাতি আক্রমনের স্বীকার হন শুক্লা দেবনাথ। ঘটনাটি ঘটে ঐইদিন বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ বিলোনীয়া থানাধীন বাতখলা এলাকার পিপাড়িয়া খলা এলাকায় । ঘটনার বিস্তিত জানিয়ে গত ২৭ অক্টোবর শুক্লা দেবনাথের ছেলে তার মায়ের উপর আক্রমনকরি অভিযুক্ত ভাতখলা এলাকার উত্তম ধুপি , শিপ্রা ধুপি, শেফালী দেবনাথ, রমণী দেবনাথ, কালী দেবনাথ, কাজল দেবনাথ ,রাখি দেবনাথ সহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ঘটনার প্রায় ১৬ দিন পরেও পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা গ্রহন না করে উল্টো আক্রন্তকরিদের কাঠ গোড়ায় তুলার চেষ্টা করছে অভিযোগ। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ অভিযুক্তরা সকলেই বিজেপির মাফিয়া দলের কার্যকর্তা এবং শাসক দলের নেতাদের ঘনিষ্ট তাই বাঁকা পথে পুলিশকে পকেটে পুরে বহাল তবিয়তে এলাকায় মাফিয়া রাজ কায়েম করে চলছে। এখন দেখার আদালত মামলা গ্রহন করে শুক্লা দেবনাথকে ন্যায় বিচার ও সুচিকিৎসার ব্যাবস্থা করে দিতে পারেন কিনা।