সোনামুড়াঃ
একই রাতে সোনামুড়া থানাধীন ৩ বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে সোনামুড়া মহকুমা জুড়ে। রবিবার রাত প্রায় সাড়ে ১২ থেকে ২ টা পর্যন্ত চলে ডাকাত দলের এই অপারেশন। আস্ত্রের মুখে লুট নগত টাকা, স্বর্ণালংকার সহ সবকিছু। বাড়ির মালিকেরা অভিযোগ দায়ের করেছেন সোনামুড়া থানায়। এমনিতেই নেশা, চোরাচালান,সীমান্ত অপরাধ ইত্যাদির জন্য রাজ্যসেরা সোনামুড়া। এখন মহকুমা পুলিশ প্রশাসনের বড় মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে মহকুমা জুড়ে শুরু হওয়া সিরিজ ডাকাতির ঘটনা। শনিবার রাতে মহকুমার কলমচৌড়া থানাধীন মানিক্যনগর এলাকার এক বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা সংঘঠিত হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের পুলিশ প্রশাসনকে চেলেঞ্জ ছুড়লো ডাকত দল। রবিবার রাতে সোনামুড়া থানাধীন খেদাবাড়ি ও শান্তিনগর এলাকার ৩ বাড়িতে একের পর হানা দেয় ডাকাত দল। রাত তখন প্রায় শোয়া ১২ টা। সোনামুড়া থানার অন্তর্গত পেশায় রাবার চাষী পুলক পালের বাড়িতে প্রথমে হানা দেয় অস্ত্রসস্ত্রে সুসজ্জিত ৫-৬ জনের ডাকাত দল। তাদের মধ্যে ১ জনের মুখ বাঁধা অবস্থায় ছিল। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে মৃত্যুভয় দেখিয়ে পুলকের বাড়ি থেকে নগদ ১ লক্ষ ৭ হাজার টাকা ,৩ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। ডাকাত দলের ২ সদস্যকে চিনতে পেরেছেন পুলক ও তার স্ত্রী। এর পরেই ডাকাত বাহিনী হানা দেয় পুলকের পার্শবর্তী বাসিন্দা দিলীপ কুমার পালের বাড়িতে। তিনি বেসরকারি একটি ব্যাংকের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। সেখানেও লুট হয় হয় নগত ৪৫ হাজার টাকা ও আড়াই ভরির মতো স্বর্ণালংকার। এর পরের ঘটনা একই থানাধীন সোনামুড়া শহর সংলগ্ন খেদাবাড়ির বিপ্লব মজুমদারের বাড়িতে। রাজ্য পূর্ত দপ্তরের কর্মরত বিপ্লব চাকরি সূত্রে থাকেন আমবাসায়। বাড়িতে থাকেন তার স্ত্রী সন্তান , ২ ভাইয়ের পরিবার , বৃদ্ধা মা ও এক বোন। বিপ্লবের ঘরে প্রথমে হানা দেয় ডাকাত দল। তার স্ত্রী পপি মজুমদারের গলায় রিভলভার ধরে পরনে থাকা গয়না ও নগত টাকা লুট করে নেয় প্রথমে।অস্ত্রের মুখে সেই পপিকে দিয়েই ডেকে বাকি ভাইদের ঘরের দরজা খোলায় ডাকাতরা। এরপর বাকি ঘর গুলিতেও চলে লুটপাট। এই বাড়িটি থেকে সব মিলিয়ে ১৫ থেকে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৬০ হাজার টাকা ডাকাত দল নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করতেছেন বাড়ির লোকেরা । তিনটি ক্ষেত্রেই বাড়ির মালিকেরা সোনামুড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। থানার ওসি পরিতোষ দাস জানিয়েছেন প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই উপযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ। আজ থেকে মাসাধিককাল আগে সোনামুড়া মহকুমার কলমচৌড়া থানা এলাকায় এবং প্রায় ২ মাস আগে মেলাঘর থানা এলাকায়ও প্রায় একই কায়দায় সংঘঠিত হয়েছিল পৃথক ২ টি ডাকাতির ঘটনা। অর্থাৎ গত প্রায় ৩ মাসের ব্যাবধানে সোনামুড়া মহকুমায় ৬ টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গতকাল ও গত পরশুর রাতে ঘটেছে ৪ টি। যা নিয়ে চিন্তা ,আতঙ্ক ও চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে সোনামুড়া মহকুমার সাধারণ মানুষের মধ্যে। ৩ মাস আগের মেলাঘরের ঘটনায় পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোন ক্লো-ই বের করতে পারেনি বলে খবর। বক্সনগর অর্থাৎ কলমচৌড়া থানা এলাকায় পূর্বে সংঘঠিত হওয়া ডাকাতির ঘটনায়ও আসেনি তেমন সাফল্য। যা নিয়ে চলমান এই ঘটনা গুলির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ কতটা সাফল্য পাবে ? টা নিয়ে দেখা দিয়েছে যথেষ্ট সন্দেহ।