
সোনামুড়াঃ বি.এস.এফ এর গুলিতে গরু পাচারকারীর মৃত্যুর অভিযোগ। মৃতের নাম আলমগীর হোসেন। ঘটনা রবিবার গভীর রাতে সোনামুড়া থানাধীন দূর্গাপুর সীমান্ত এলাকায়। ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। জানা গেছে সোনামুড়ার সীমান্ত ঘেঁষা দুর্গাপুর গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ডুগারা এলাকায় এখনও তারকাটার বেড়া হয়নি। তাই এই এলাকাটি এখন আন্তর্জাতিক পাচারকার বানিজ্যের অঘোষিত মুক্তাঞ্চলে পরিনত হয়ে আছে। রবিবার গভীর রাতে সেই অঞ্চল দিয়েই একদল পাচারকারী বাংলাদেশে গরু পাচার করছিল বলে অভিযোগ। তখন ঘটনা প্ৰত্যক্ষ করে পাচারকারীদের বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করে বি.এস.এফ ১৩৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ান জওয়ানরা। তাতে পাত্তা দেয়নি পাচারকারীরা। কর্তব্যরত বি.এস.এফ জওয়ানরা তাদের পিছু ধাওয়া করলে উল্টো বি.এস.এফকেই পাচারকারীরা পাল্টা আক্রমণ করতে উদ্দত হয় বলে অভিযোগ। একসময় বি.এস.এফ গুলি চালালে বাকি পাচারকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও বি.এস.এফের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গরু পাচারকারী আলমগীর হোসেনের। স্থানীয় লোকজন আলমগীরকে উদ্ধার করে সোনামুড়া সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত আলমগীর হোসেনের পরিবারের লোকেদের দাবি আলমগীর পাচারকাজের সঙ্গে যুক্ত নয়, বি.এস.এফ পাচারকারীদের ধাওয়া করলে পাচারকারীরা সীমান্তঘেঁষা আলমগীরের বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপনের চেষ্টা করে তখনই নিরীহ আলমগীরকে বি.এস.এফ গুলি করে হত্যা করে। মৃত আলমগীরের ২ সন্তান ও স্ত্রী রয়েছে। আলমগীরের বুকের বা দিকের নিন্মাংশে গুলির একাধিক চিহ্ন রয়েছে। তার আগেও এই দুর্গাপুর সীমান্তে বি.এস.এফের গুলিতে একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এক্ষেত্রেও আসল ঘটনা কি তা সঠিক পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসুক এটাই চাইছে সচেতন মহল।