আগরতলাঃ
বিরোধী জোট নিয়ে ধোঁয়াশা, আবারও কি তাড়াতাড়ি করে ফেলল বামফ্রন্ট । গতকাল অর্থাৎ শনিবারই মেলারমাঠে বাম-কংগ্রেস ও মথার বৈঠক হয়। প্রাথমিক আলোচনার পর স্থির হয় উপভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট ভাগাভাগি করতে চায় না কেউই। তাই বিরোধী জোটেই উপনির্বাচনে লড়ার কৌশল স্থির হয়। তবে কোন দল হবে জোটের মুখ তা নিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়নি। আর এর মধ্যেই রবিবার দুই কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী ঘোষনা করে দিল বামফ্রন্ট। উভয় কেন্দ্রেই বিরোধী মুখ হচ্ছে সিপিআইএম। এবারো নিজেদের অবস্থান নিয়ে আপোষ করতে চায়নি সিপিআইএম। আর এখানেই আবারও ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনের মত উপভোটেও পরিস্থিতি তৈরী হচ্ছে বিরোধী শিবিরে। যা জীতেন চৌধুরীর অস্পষ্ট বক্তব্যে আবারও স্পষ্ট হল। বিরোধীতার সুর দেখা যাচ্ছে কংগ্রেস শিবিরে। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা বক্সনগর থেকে প্রার্থী হিসাবে চেয়েছিলেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বিল্লাল মিঞাকে। কংগ্রেস ছাত্রনেতা সম্রাট রায়ের সামাজিক মাধ্যমে বিরোধীতার সুর। অর্থাৎ উপভোটেও বিরোধী শিবিরে অসন্তোষের বাতাবরন তৈরী হচ্ছে। যার লাভ আবারও পেতে পারে শাসক বিজেপি। ২৩এর নির্বাচনে ধনপুরে সিপিএম পেয়েছিল ১৫৬৪৮ ভোট, বিজেপি পেয়েছিল ১৯১৪৮, আর মথার দখলে ছিল ৮৬৭১। আর মথার এই অঙ্কই ধনপুরে হিসাব পালটে দিয়েছিল বিরোধী শিবিরের। অন্যদিকে বক্সনগরে ২৩ এর নির্বাচনে সিপিএম পেয়েছিল ১৯৪০৪ ভোট, বিজেপি ১৪৫৫৫ এবং মথার দখলে ছিল ৩০১০টি ভোট। অর্থাৎ এখানেও মথার ভোট ফ্যাক্টর হতে পারে জয় পরাজয়ের। তাই উপভোটে বাম্ফ্রন্টের প্রার্থী ঘোষনার পর আবারও অঙ্কের হিসাব শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক পরিমন্ডলে। এখন দেখার বিষয় কংগ্রেস এবং মথা উপভোটে সিপিএমের প্রার্থীদের সমর্থন করে কিনা, নাকি তারাও প্রার্থী ঘোষনা করে আবারও জয়ের পথ প্রশস্থ করে বিজেপির জন্য।