
বিশ্রামগঞ্জঃ
সকাল ১০ টায় জেলা শাসক কার্যালয়ে বৈঠক, ১২টায় কাঠালিয়ের থলিবাড়িতে লাভ্যার্থী সন্মেলন, মাছিমায় মধ্যাহ্ন ভোজন এবং সবশেষে বক্সনগরে দলীয় যোগদান সভা। দিনভর সিপাহীজলাতেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার ১৪ ঘন্টার মেরাথন কর্মসূচি নিয়ে সিপাহীজলা জেলা সফরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। দিনের শুরুতেই প্রায় ৪ ঘন্টার দীর্ঘ পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সিপাহীজলা জেলা শাসকের কনফারেন্স হলে। বিভিন্ন লাইন ডিপার্টম্যান্টের অধিকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত পর্যালোচনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। তাছারাও উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, বিশালগড়, কমলাসাগর এবং নলচরের কেন্দ্রের তিন বিজেপি বিধায়ক যথাক্রমে সুশান্ত দেব, অন্তরা দেব সরকার এবং কিশোর বর্মন। এই বৈঠকে জেলার বিরোধী দলের বিধায়কদের দেখা যায়নি। বৈঠক শেষে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কিছু বলেননি মুখ্যমন্ত্রী। তবে সিপাহীজলা জেলা শাসক ডাঃ বিশাল কুমারকে বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মূলত সরকারি প্রকল্প গুলোর কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে এই জেলায় এবং জনসাধারণ সকল সুযোগ সুবিধা সরকারের পক্ষে থেকে সঠিকভাবে পাচ্ছেন কিনা সেই বিষয়ের উপর জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। মূলত জীবনযাত্রার লক্ষ্যে অতি প্রয়োজনীয় জল, বাসস্থান, বিদ্যুৎ, খাদ্য ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়। তার সাথে সামাজিক ভাতা এবং অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধার সঠিক বন্টন এর দিকে ও নজর দেওয়া হচ্ছে কিনা সেই বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গেছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রশাসনকে আরো সঠিকভাবে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জেলাশাসক জানান মূলত এই জেলায় যে বিভিন্ন দপ্তরের কাজ হচ্ছে তা অগ্রগতি কতটুকু তার সম্পূর্ণ খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। তাছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে খামতিও চোখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর। যা শুধরানোর জন্য নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী এবং এই বিষয়গুলো নিয়ে দ্রুত আবারও এই জেলার সকল জনপ্রতিনিধি এবং আধিকারিকদের নিয়ে দুই তিন মাস পর বৈঠক করা হবে বলে জানিয়ে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাছাড়া সোনামুড়া মহকুমায় ডেঙ্গু এর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় তা প্রতিরোধের লক্ষ্যে যাবতীয় সকল ব্যবস্থাপনা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন জেলা শাসক।