বামুটিয়াঃ
অব্যাহত প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করছেন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীরা অবৈধভাবে।কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে কিংবা আটক করতে সক্ষম হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা যে কোন উপায়ে রাজ্যে প্রবেশ করছেন এবং যে এলাকায় দিয়ে প্রবেশ করছেন সে এলাকায় বিভিন্নভাবে তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বানিয়ে নিয়েছেন বাঁকা পথে টাকার বিনিময়ে,যা বর্তমান সময়ে ত্রিপুরা রাজ্যের একটি অন্যতম সমস্যা। প্রতিনিয়ত রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে এরকমভাবে বাংলাদেশী অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড় করাচ্ছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে।যদিও এক্ষেত্রে কিছু কিছু সময় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় কিন্তু থেমে নেই অবৈধ অনুপ্রবেশ। ঠিক তেমনি একটি ঘটনা ঘটে রবিবার বামুটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্গত বামুটিয়া সীমান্ত এলাকায়। ঘটনা বিবরণে সোমবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বানুটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় দেববর্মা জানান রবিবার বামুটিয়া এলাকায় সীমান্ত পারাপারের সময় অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতের প্রবেশ করার সময় বামুটিয়া সীমান্ত এলাকায় এক অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে আটক করে বিএসএফ এবং পুলিশ। পরে সেই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে আসে বামুটিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে। এবং তার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইন অনুযায়ী একটি মামলা নেয় পুলিশ। মামলার নম্বর ৪৯/2023।পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে এই ব্যক্তির নাম মমিন খলিলুল্লাহ পিতা আব্দুল খলিলুল্লাহ তার বাড়ি বাংলাদেশের বাঁশিগাঁও,থানা রহিমপুর,জেলা ফরিদপুর দেশ বাংলাদেশ। তার বয়স অনুমানিক ৬৫ বছর তার কাছ থেকে একটি টর্চ লাইট এবং বাংলাদেশের মুদ্রা উদ্ধার হয় এবং এই বিষয়ে পুলিশ জানায় সে কোথা থেকে এসেছে কোথায় যাচ্ছিল কার হাত ধরে এসেছে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে তদন্তের পর তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। কিন্তু মূল বিষয় হচ্ছে অবৈধ বাংলাদেশী কিংবা বাংলাদেশী রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রবেশ দিন দিন ত্রিপুরা রাজ্যে বেড়েই চলছে যা পরবর্তী সময়ে রাজ্যে জন্য বিপদজনক হতে পারে,তাই সময় থাকতে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রয়োজন।