তেলিয়ামুড়াঃ বনেদি পরিবারে দুই গৃহবধূর অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে আলোচনার ঝড় তেলিয়ামুড়ায়। অভিযোগ অভিজাত ঠিকেদার পরিবারকে মামলায় ফাসিয়ে অর্থ সম্পত্তি আদায়ের ধান্ধা গৃহবধূর। জানা গেছে আনুমানিক ১০-১২ বছর পূর্বে রাজধানীর এক তরুনী তেলিয়ামুড়া শহরের প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার সায়ন্ত দাসকে ভালোবেসে বিয়ে করে। বিয়ের কিছুদিন ভালো ভাবে কাটলেও ধীরে ধীরে তরুনীর আসল চেহারা সামনে আসে। অভিযোগ তেলিয়ামুড়ার শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে রাজধানীর ভলকান ক্লাব সংলগ্ন ফ্ল্যাটে চলে যায় উক্ত গৃহবধূ। এরই মাঝে তাদের পরিবারে দুটি সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু তবুও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মাঝে ফাটল ক্রমশই বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। একটা সময় সায়ন্তর সঙ্গে তার স্ত্রীর প্রায় সমস্ত যোগাযোগই বন্ধ হয়ে যায়। সন্তানদের ভরনপোষনের জন্য সায়ন্ত প্রতিমাসে ৪৫ হাজার টাকা দিত গৃহবুধূকে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায় যে নিজের সন্তানদের বাবার কাছে যেতে বাঁধা প্রদান করে ওই গৃহবধূ। গত বুধবার উক্ত গৃহবধূ কাউকে কিছু না বলে নিজের শশুর বাড়িতে এসে নিজের ঘর থেকে বেশ কিছু স্বর্ণালংকার সহ কাপড়-চোপড় এবং কিছু কাগজপত্র নিয়ে আবার আগরতলায় চলে যায়। আগারতলায় গিয়েই স্বামী, শাশুড়ি এবং ভাসুরের নামে মারধর, ধর্ষনের চেষ্টা সহ অন্যান্য অভিযোগ এনে মামলা করে গৃহবধূ। যার সমস্ত অভিযোগটাই মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে দাবী বাড়ির বড় গৃহবধূর। যার জেড়ে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত স্বামী তথা ঠিকাদার সায়ন্ত পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। বাড়তি পয়সা রোজগারের ধান্দায় গৃহবধূ এই মামলাটি করেছে বলেও অভিযোগ। অভিজাত পরিবারের লাস্যময়ী গৃহবধূর এহেন কান্ডে ব্যপক আলোচনার শুরু হয়েছে তেলিয়ামুড়া শহরজুড়ে।