মালদাঃ
মনিপুরের পর এবার পশ্চিমবঙ্গের একটি ভিডিও ঘিরে চাঞ্চল্য। দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হেনস্থার অভিযোগ। মালদহে চুরির অভিযোগে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর, জুতোপেটা করার অভিযোগ উঠেছে উন্মত্ত জনতার বিরুদ্ধে। পরে এক জন মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার ওই দুই মহিলাকে উদ্ধার করেন। তবে ওই দুই মহিলার বিবস্ত্র ছবি এবং মারধরের ঘটনা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তোলপাড় রাজ্য তথা দেশের রাজনীতি। স্থানীয় সূত্রে খবর, মালদহের এই দুই মহিলার বাড়ি মানিকচক এলাকায়। লেবু বিক্রি করতে বামনগোলা পাকুয়াহাটের গিয়েছিলেন তাঁরা। যে ভিডিয়ো ছড়িয়েছে সেটি ১৮ জুলাইয়ের। ওই দুই মহিলার আত্মীয়েরা জানান, লেবু বিক্রি করতে গ্রামবাংলার বিভিন্ন প্রান্তে যান তাঁরা। সে দিনও গিয়েছিলেন। চুরির অভিযোগে তাঁদের মারধর করা হয়। ওই দুই মহিলাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে দাবি দুই নির্যাতিতার পরিবারের। তবে বিজেপির দাবি, মণিপুরে হিংসায় যে ভাবে মহিলাদের বিবস্ত্র করে ঘুরিয়েছে উন্মত্ত জনতা। সেই ছবি মালদহের বামনগোলার পাকুয়াহাটেও দেখা গিয়েছে। তাঁদের কটাক্ষ, বাংলায় নারীরা সুরক্ষিত নয়।
এই ঘটনায় সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয়। তিনি টুইটে লেখেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে আতঙ্ক অব্যাহত। মালদহে দুই আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে নির্মম ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এই ঘটনার সময় পুলিশ ছিল নীরব দর্শকের ভূমিকায়।’’ অমিতের দাবি, ঘটনাটি ১৯ জুলাই সকালের। এ নিয়ে টুইটে মমতার সরকারকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও। অন্য দিকে, এই পুরো ঘটনায় রাজ্যের মন্ত্রী শশীর বক্তব্যের সমালোচনা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, মহিলা নিরাপত্তার মতো বিষয়ে যেখানে প্রশ্ন উঠছে, তা লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল।