বড়মুড়াঃ
"ঠেলা ঠেলির ঘর, খুদা রক্ষা কর"-- এই ঠেলাঠেলির কারণে অসম আগরতলা জাতীয় সড়কে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে দীর্ঘ প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় স্তব্ধ ছিল ছোট বড় বিভিন্ন যানবাহন। দীর্ঘ প্রায় দুই আড়াই ঘণ্টা পর প্রশাসনিক কর্তা ব্যাক্তিদের হুঁশ ফেরায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়,, তেলিয়ামুড়া মহকুমা ও জিরানিয়া বণদপ্তরের বর্ডার লাইন অসম আগরতলা জাতীয় সড়কের বড়মুড়া গ্যাস টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টা নাগাদ জাতীয় সড়কের উপর দৈত্যাকার আকৃতির গাছ পড়ে স্তব্ধ হয়ে পড়ে যান চলাচল। দীর্ঘক্ষণ যাবত যান চলাচল স্তব্ধ থাকার ফলে সৃষ্টি হয় বিশালাকারের যানজট। এদিকে দুই মহকুমার মধ্যে সীমানা নির্ণয় নিয়ে ঠেলাঠেলি শুরু হয়। যার ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা দলের কর্মীরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসূন কান্তি ত্রিপুরার নেতৃত্বে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ ও ট্রাফিক ইউনিটের কর্মীরা। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস্ পঞ্চম ব্যাটেলিয়নের জওয়ান ও চম্পকনগর বনদপ্তরের কর্মীরা। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উপস্থিত সাধারণ জনগণের সহযোগিতা নিয়ে হাত লাগায় এই দৈত্যাকার আকৃতির গাছটিকে কেটে রাস্তা পরিষ্কার করতে হাত লাগায়। অন্যদিকে দীর্ঘ প্রায় দুই ঘন্টা পর ঢাল তলোয়ার হীন নিধিরাম সর্দারের মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের কর্মীরা।
আর প্রশাসনিক ঠেলাঠেলির মাঝে পরে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে ছোট-বড় যানচালক থেকে শুরু করে যাত্রী সাধারণ এবং অ্যাম্বুলেন্স ও অ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগীদের।
সে যাই হোক, অবশেষে দীর্ঘ প্রায় দুই আড়াই ঘণ্টা সময় দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর পুনরায় সচল হয় স্তব্ধ যান চলাচল।