চড়িলামঃ
বাবা মইরা গেলে কেমনে খামু ? ১৭ বার বিকলাঙ্গ ভাতার জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েও ব্যর্থ হয়ে এক রাশ ক্ষোভ নিয়ে আমাদের প্রতিনিধির কাছে প্রশ্ন রাখল ২৪ বছরের বিকলাঙ্গ জনজাতি যুবক যুবক রামচরণ দেববর্মা । চড়িলামের পদ্মানগর এডিসি ভিলেজের শ্রী হরি পাড়ায় দশিরাম দেববর্মা একমাত্র ছেলে সন্তান বামচরন । রাম চরণ ঠিকভাবে হাঁটতেও পারে না, যা আপনারা এই তথ্যচিত্রে দেখতে পাচ্ছেন । ভালোভাবে কথা বলতে পারে না। দুইটি হাত বাঁকা। হাতের এবং পায়ের আঙ্গুল গুলিও বাঁকা। নিজ হাতে ভাত খেতে পারে না। স্নান করতে পারেনা। জামা কাপড় পড়তে পারেনা। ছেলেটির মা বিকারানী দেববর্মা, বেশ কয়েক বছর হয়েছে প্যারালাইসিস হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। ছোট ভাই এবং পিতাই একমাত্র ভরসা রামচরনের। যেদিন ছোট ভাই কাজে চলে যায় সেদিন তাকে না খেয়ে উপোস থাকতে হয়। কারণ রামচরণ নিজ হাতে কিছুই করতে পারেনা। বেশ কয়েকবার রামচরণ স্থানীয় নেতা সহকারে মন্ত্রীদের হাতে পায়ে ধরেছে একটি ভাতার জন্য। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ ফিরে তাকায়নি তার দিকে। সে প্রশ্ন তুলে আমাদের সংবাদ প্রতিনিধিকে যদি বাবা মইরা যায় তাহলে আমি কেমনে খামু ? আর তার এই প্রশ্ন আমরাও তুলে ধরলাম রাজ্য সরকারের কাছে , ৯০% বিকলাঙ্গ রামচরন এবং তার অসহায় পরিবার কি বাঁচার জন্য সামান্য সাহায্যটুকু পাওয়ার অধিকার রাখে এই দেশে ?