সোনামুড়া:
আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বক্সনগর মিনি স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে পশুহাট।গত কয়েক বছর করুনা অতিমারির কারণে ঈদ উপলক্ষে রাজ্য কোনো পশু হাট বসেনি। ফলে এই বছর ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত পশু হাটগুলি নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে একটি বাড়তি উৎসাহ।রবিবার বক্সনগর মিনি স্টেডিয়ামে পশুহাট ঘুরে দেখা গেছে হাটে প্রায় দুই হাজার গরু,ছাগল বিক্রির জন্য তোলা হয়েছে।শুধু সোনামুরাই নয় রাজ্যের বিভিন্ন মহাকুমা থেকে পশু ব্যবসায়ীরা হাটে তাদের গরু ছাগল গুলি নিয়ে এসেছেন।এদিন একটি গরু সর্বাধিক দু লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।তাছাড়া সাধারণ একটি ছোট বড় গরু ৮০ থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। ক্রেতাদের বক্তব্য এই বছর পশুর হাট দামে কিছুটা চড়া।ফলে ক্রেতাদের অনেকেরই বাজেট হিসেবে গরমিল হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে পশুর মূল্য বেড়ে যাওয়ায় বিক্রেতারা অনেকেই খুশি।এদিনের পশু হাট সকাল সাত ঘটিকা থেকে সারাদিনব্যাপী উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে সমাপ্ত হয়ে বলে জানা যায়।ঐ দিন দুপুর ১২ ঘটিকার সময় এই পশু হাট পরিদর্শনে যান শাসক দলের ২০ বক্সনগর বিধানসভার বিজিত প্রার্থী তফাজ্জল হোসেন।তিনি বলেন আগামী ২৯জুন বৃহস্পতিবার মুসলমান ধর্মালম্বীদের ঈদুল আযহা উপলক্ষে পশু কোরবানি করা হবে।কুরবানি মানে ত্যাগ।তিনি আরও বলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তিনি সকল মুসলমান ধর্ম মানুষদের উদ্দেশ্যে বলেন ২০১৮ সালে সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর থেকেই মুসলিমরা কুরবানী ঈদের পশুর হাটে পশু ক্রয় বিক্রয়ের পর কোন চাঁদা দিতে হয় না,সিপিএম আমলে পশু ক্রয় করলেও চাঁদা দিতে হতো,পশু বিক্রি করলেও চাঁদা দিতে হতো।এখন আর এই সিস্টেম নেই।ক্রেতা বিক্রেতাদের কাছে কোন ব্যক্তি চাঁদা দাবি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সমস্ত মানুষ যাতে করে শান্তি-শৃঙ্খলভাবে পশুর হাটে পশু ক্রয় বিক্রয় করতে পারে সেদিকে কড়া নজর থাকবে। তিনি আগামী 29 ঈদুল আযহা উপলক্ষে সমস্ত মুসলিম ধর্মপ্রাণ ভাইদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন যাতে করে অন্য ধর্মের ভাইয়েরা এই কুরবানীর কারণে কোন সমস্যার সম্মুখীন না হয়,কুরবানির পশুর চামড়া,মল,মূত্র রাস্তাঘাটে না ফেলে কোন একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখা হয়।