Home BREAKING NEWS অর্থাভাবে বিজ্ঞান নিয়ে পড়া সম্ভব হচ্ছেনা সুপর্ণার

অর্থাভাবে বিজ্ঞান নিয়ে পড়া সম্ভব হচ্ছেনা সুপর্ণার

by News On Time Tripura
0 comment

সোনামুড়াঃ

মেয়ে ৯৩ শতাংশ নাম্বার পেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ন হওয়ায় খুশির বাতাবরণ পরিবার সহ গোটা পাড়ায়। খুব ইচ্ছা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করার।  তবে সবকয়টি বিষয়ে লেটার পেয়ে ৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়েও অর্থাভাবে বিজ্ঞান নিয়ে পড়া সম্ভব হচ্ছেনা ধনপুরের অভাবী -মেধাবী ছাত্রী সুপর্ণা দেবনাথের। সুপর্ণার মা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ,বাবা শারীরিক ভাবে অসুস্থ হওয়ায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে অভাবের সংসার। এই মেধাবিনীর আর্জি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর  কৃপাদৃষ্টি বর্ষিত হউক তার উপর।

জীবন প্রতি মুহূর্তে রঙ বদলায়। খুশিতে হাঁসায়, দুঃখে কাঁদায়। কিন্তু খুশির মুহূর্তেও সোনামুড়া মহকুমার ধনপুর শান্তিনগর এইচ .এস স্কুলের মেধাবিনী  সুপর্ণার চোখে আশঙ্কা অনিশ্চিত ভবিষতের।  এবছর ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক পরীক্ষয় এয় ভাল ফলাফল করেও খুশি নয় সুপর্ণা। পড়াশোনার পাশাপাশি খো-কো খেলায়  , ছবি আঁকায় , সবেতেই পারদর্শী মেয়েটি। ছবি আঁকার ক্ষেত্রে যেমন রয়েছে বিশারদ ডিগ্রি ,তেমনি খো-কোতে জাতীয় স্তরে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা। এবছর মাধ্যমিকে  তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৬৫।

একসময় ভালোই চলছিল সুপর্ণাদের সংসার। বাবা অরুন পাল স্নাতক ডিগ্রিধারী হলেও রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাতেন। মা রুমা  অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। বি.এ পাশ।  প্রায় ৫ বছর আগে বাবা স্নায়ুবিক রোগে আক্রান্ত হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেললে সবকিছু উলট -পালট হয়ে যায়। মা এখন সন্মানিক হিসেবে ৯ হাজার টাকা পেলেও বেশিরভাগ টাকাই চলে যায় হোম লোনের কিস্তি প্রদানে। এই অবস্থায় খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাই যখন সুপর্ণাদের বড় দ্বায় ,তখন উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান নিয়ে  মেয়েকে পড়াশোনা করানো অভিভাবকদের  কাছে বিলাসিতার নামান্তর।

এতসব প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সুপর্ণা স্বপ্ন দেখে বিজ্ঞান নিয়ে পাড়ার। ভবিষৎ জীবনে  ডাক্তার হওয়ার। আশা করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা ও ধনপুর এলাকার নেত্রী কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের সহযোগিতার।

You may also like

Subscribe

© 2025 News On Time Tripura – All Rights Reserved. Developed by Cibato