অমরপুরঃ
৬০ শতাংশ প্রতিবন্দি হয়েও সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হত দরিদ্র পরিবারের নার্সিং পড়ুয়া এক ছাএী। অমরপুর মহকুমার অন্তর্গত রাঙামাটি খেয়াগাট এলাকার গন্ধরাজ ভৌমিকের বড় মেয়ে প্রিয়াংকা ভৌমিক মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় দূর্ঘটনায় অচল হয়ে পরে। মেয়েটির কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত অচল। ৬০ শতাংশ প্রতিবন্দির সরকারী সার্টিফিকেটও রয়েছে মেয়েটির। একদিকে পরিবারের দুর্বিসহ অবস্থা তার উপর মেয়েটির এই প্রতিবন্দিকতা, এত প্রতিকুলতার মধ্যেও নিজের মানসিক শক্তির জোরে মেয়েটি নার্সিং পড়ছে। বাবা গন্দ্বরাজ ভৌমিক একজন দিন মজুর এবং তার মা সীমা ভৌমিক মানুষের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে সংসার প্রতিপালন সহ ২ মেয়েকে পড়াশুনা করিয়ে যাচ্ছে। হত দরিদ্র পরিবারটির বিপিএল কার্ড থাকা সত্বেও সরকারি বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় একটি ঘরও জোটেনি এই পরিবারটির। তার মধ্যে বড় মেয়ে প্রিয়াঙ্কার এই অবস্থা। তিন তিনবার প্রতিবন্দি ভাতার জন্য স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে আবেদন করা সত্বেও মিথ্যা আশ্বাস ছাড়া কিছুই মিলেনি। সংসারের এতসব দূর্দশার মধ্যে প্রতিবন্দি ছাএী প্রিয়াংকা ভৌমিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং সমজকল্যান দপ্তরের মন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানায় সরকার যেন তার পরিবারটির দিকে একবার নজর দেয়। সরকারের কাছে তার পরিবারের জন্য একটি ঘর এবং নিজের জন্য একটি প্রতিবন্দি ভাতার ব্যবস্থার আর্জি জানায় প্রিয়াঙ্কা।