তেলিয়ামুড়াঃ
বিদ্যুৎ দপ্তরের চরম গাফিলতিতে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মারের মূল তারে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল এক গবাদি পশু। ঘটনা তেলিয়ামুড়া ধর্মনগর স্থিত তেলিয়ামুড়া বিদ্যালয় পরিদর্শকের কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায়।
জানা গেছে, তেলিয়ামুড়া বিদ্যালয় পরিদর্শকের কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় বিচরণ করছিল একটি গবাদি পশু। পাশেই ছিল বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার । আর এই ট্রান্সফরমারের চারিপাশে কোন ধরনের বাউন্ডারি ওয়াল ছিল না। ফলে গবাদি পশুটি ঘাস খেতে খেতে চলে আসে ট্রান্সফরমারের সম্মুখে। বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের সংস্পর্শে ছিল একটি বিদ্যুৎ পরিবাহী তার। গরুতে বিদ্যুৎ পরিবাহী তারের সংস্পর্শে আসতেই হঠাৎই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে পড়ে কাতরাতে থাকে গবাদি পশুটি। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় ওই গবাদি পশু। মূলত, বিদ্যুৎ কর্মীদের গাফিলতির কারণেই মৃত্যু হয়েছে গবাদি পশুর এমনটাই অভিযোগ গবাদি পশুর মালিকের। যদিও এলাকাটি যথেষ্টই জনবহুল। বিদ্যালয়ে পরিদর্শকের কার্যালয়ের ভিতর রয়েছে একটি বিদ্যালয় । আর এই বিদ্যালয়ে প্রতিদিন কচিকাঁচা ছাত্র-ছাত্রীরা এই পথ ধরে যাতায়াত করে থাকে। এমন কি এলাকার আট থেকে আশি প্রত্যেকের আনাগোনা এই রাস্তা দিয়ে। ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
এদিকে এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের পৌর পিতা রূপক সরকার। তিনি এসে ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন ।
তিনি জানান,,এই এলাকাটি একটি জনবহুল এলাকা, এমনকি একটি বিদ্যালয়ের রয়েছে। প্রতিদিন এই পথ ধরে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী সহ এলাকাবাসীরা যাতায়াত করে থাকেন। বিদ্যুৎ দপ্তরের চরম খামখেয়ালীতে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। অপরদিকে এই ঘটনা গোটা এলাকার ছড়িয়ে পড়তে ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। প্রশ্ন তুলছেন, এ ধরনের খামখেয়ালি পনায় আরো বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কে নেবে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনার স্থলে পৌঁছায় তেলিয়ামুড়া বিদ্যুৎ দপ্তরের সিনিয়র ম্যানেজার বিমলেন্দু বিকাশ দাস। তিনি এসে এলাকাবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে। উনাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উনি অনেকটাই দায়সারা মনোভাব নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেন,, গোটা ঘটনাটি নিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দাবি করেন।