সাব্রুমঃ সাতচাঁদ এগ্রি সাব-ডিভিশনের অধীনে বর্তমানে পৌয়াংবাড়ী এগ্রি সাব-ডিভিশনের অন্তর্গত চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা “সুসংহত জল বিভাজিকা” (আই.ডাব্লিউ.এম.পি.) প্রকল্পের কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে প্রাক্তন বিধায়ক শংকর রায়ের একনিষ্ঠ অনুগামীরা গায়েব করে দেয় বলে এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে আসে। ঘটনা দক্ষিণ ত্রিপুরার প্রান্তিক মহকুমা সাব্রুমে। বাম আমলের ২০১৩ সালের শেষের দিকে সাতচাঁদ এগ্রি সাব-ডিভিশনের অধীনে ঐ সময় সীমান্তবর্তী কৃষকদের কথা চিন্তা করে পৌয়াংবাড়ী আর.ডি.ব্লকের অন্তর্গত শ্রীনগর, দক্ষিণ শ্রীনগর, আমলীঘাট ও কৃষ্ণনগর এই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষকদের জন্য ৩৯-টি পুকুর খনন সহ কৃষকদের বিভিন্ন রকম সাহায্যার্থে প্রায় ৯৬ লক্ষ টাকা সুসংহত জল বিভাজিকা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়। ঐ সময় চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ঐ প্রকল্পের জন্য প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১১ জনের সদস্য তৈরি করা হয় এবং এই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৪ জন সদস্যদের উপর পাঁচ জনের একজিউটিভ কমিটি গঠন করা হয় কৃষকদের আর্থিক লেনদেনের সুবিধার্থে। ২০১৮ সালে বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঐ প্রকল্পের কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। বিগত কয়েকদিন যাবত সাব্রুমের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে তথা পৌয়াংবাড়ী আর.ডি.ব্লকের. অন্তর্গত শ্রীনগর, দক্ষিণ শ্রীনগর, আমলীঘাট ও কৃষ্ণনগর এই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষকরা ব্যাংক সূত্রে জানতে পারে তাদের বিভিন্ন রকম সংস্কারের বরাদ্দকৃত অর্থ প্রকল্পের কমিটিদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে নেন, সাব্রুমের শংকর রায়ের একনিষ্ঠ অনুগামীরা। বর্তমান ঐ কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে কৃষকদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রজেক্টের চারটি কমিটির উপর ।
একজিকিউটিব কমিটির রাষ্ট্রবাদী রামভক্ত মূল আত্মসাৎ কারীরা হলেন, দক্ষিণ জেলার জেলা পরিষদের সদস্য তথা কমিটির সদস্য শংকর ভৌমিক, ৪০ সাব্রুম মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক তথা কমিটির সদস্য অরুণ পাল, পৌয়াংবাড়ী আর.ডি.ব্লকের.পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং পৌয়াংবাড়ী আর.ডি.ব্লকের এগ্রি সাব-ডিভিশনের চেয়ারম্যান তথা সদস্য দীপক মজুমদার, পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তথা কমিটির সম্পাদক মিন্টু দেবনাথরা। আর এই নিয়ে সাতচাঁদ এগ্রি সাব-ডিভিশনের অধিকর্তা জিতের ত্রিপুরা জানান, এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছেন, স্বরজমিনে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।