ধর্মনগরঃ খাদ্য, নাগরিক সরবরাহ এবং ভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর অফিস থেকে পাঁচ জুন ধর্মনগরের খাদ্য দপ্তরের গুদাম থেকে কুড়িজন অস্থায়ী শ্রমিককে ডেপুটেশনে তিন জেলার ভাংমুন, হালাহালি, আমবাসা, দামছড়া, আনন্দবাজার, খেদাছড়া ও কমলপুরে খাদ্য দপ্তরের গুদামে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এই নির্দেশ পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ধর্মনগরের খাদ্য দপ্তরের গুদামে থাকা বেয়াল্লিশজন শ্রমিক। জানা যায়, তারা এই নির্দেশ গ্রহণ করেননি। এর পরিবর্তে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কুড়িজন শ্রমিককে ডেপুটেশনে পাঠানোর বিচার চেয়ে লিখিত আকারে শ্রমিকদের দাবি নিয়ে সোচ্চার হন শ্রমিকরা। তাদের লিখিত পত্রে আবেদন জানানো হয়, এর আগেও একইভাবে ২৫/১১/২২ তারিখে কুড়িজন শ্রমিককে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ডেপুটেশনে পাঠানো হয়েছিল। গত ২৮/১১/ ২২ তারিখে একইভাবে প্রত্যুত্তরে জানানো হয়েছিল শ্রমিকদের তিনটি দাবি পূরণ করা হলে তারা রাজ্যের যে কোনও জায়গায় যেতে রাজি আছেন। তাদের দাবিগুলি ছিল শ্রমিকদের রাজ্যের অন্যত্র ডেপুটেশনে নিতে হলে গ্যাং গ্রুপ হিসাবে নিতে হবে তার মধ্যে তেরোজন শ্রমিক একজন ম্যানেজার। দ্বিতীয় সকল শ্রমিকদের, পরিচয়পত্র ও নিয়োগপত্র দিতে হবে এবং তৃতীয় দাবি সকল শ্রমিকদের মাসিক ত্রিশ দিনের মজুরি দিতে হবে এবং সাথে টিএ ডিএ অথবা অ্যালাউন্স দিতে হবে। এবারও তাদের একইভাবে কুড়িজনকে ডেপুটেশনে পাঠাচ্ছে খাদ্য দপ্তর। তবে এবার তাদের দাবি পুরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন শ্রমিকরা। শ্রমিক ম্যানেজার আবদুল রাজ্জাক জানিয়েছেন, ১৯৯৩ সাল থেকে তারা কাজ করে যাচ্ছেন ধর্মনগরে। বর্তমানে ধর্মনগরে ঊনচল্লিশজন শ্রমিক ও তিনজন শ্রমিক ম্যানেজার রয়েছেন। এর মধ্যে কুড়িজনকে রাজ্যের অন্যত্র ডেপুটেশনে পাঠানো হচ্ছে। তারা যেতে রাজি তবে তাদের তিনটি দাবি পূরণ করতে হবে। অন্যথায় তারা কাজ বন্ধ করে আন্দোলনের পথে নামবেন। জানা যায় গত ছয় জুন থেকে ধর্মনগরে বটরসী এলাকায় খাদ্য দপ্তরের গুদাম থেকে কোনও খাদ্যশস্য লোভ আনলোড হয়নি। এ বিষয়ে খাদ্য দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর হেমন্ত দেববর্মার সাথে দেখা করা হলে তিনি জানিয়েছেন, সরকারের নির্দেশে কুড়িজন শ্রমিককে রাজ্যের অন্যত্র ডেপুটেশনে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্ট হয়েছে।