
ঋষ্যমুখঃ
তুল্লা দিতে অস্বীকার করায় ঠিকেদারী কাজে নিযুক্ত ম্যানেজার কে মারধর, থানায় মামলা।
ঠিকেদারী কাজ করতে গেলে দিতে হবে তোল্লা। না দিলেই বিপত্তি, মারধর থেকে শুরু করে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি। এমনই একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা উঠে এলো ঋষ্যমূখ ব্লক এলাকায়। থানায় লিখিত মামলা যুব মোর্চার প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি বিরুদ্ধে, নাম সুব্রত সরকার। এই সুব্রত সরকার নাকি ঠিকাদার থেকে শুরু করে এলাকার অবৈধ প্রচারকারী এবং বিরোধী দলের লোকদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত তোল্লা আদায় করে যাচ্ছেন এমনই অভিযোগ উঠেছে ঋষ্যমূখ জুরে।। এছাড়াও এই তোল্লা আদায়ে অতিষ্ঠ বাজারের ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ জনগণ।ঋষ্যমূখ ব্লক কার্যালয়ের সামনেই আরসিসি ব্রিজের নির্মাণ করার জন্য বড়াত পায় শান্তির বাজারের ঠিকাদার পঙ্কজ মল্লিক। সে হিসেবে শুরু হয় কাজ এবং কাজ তদারকি করার জন্য ঠিকাদার পঙ্কজ মল্লিক ম্যানেজার শ্যামল আচার্যের উপর দায়িত্ব দেন। সে হিসেবে শ্রমিক ও নিয়োগ করেন ঠিকাদার। অভিযোগ কাজ শুরুর পর থেকে এই দুর্দন্ত প্রতাপ যুবনেতা ম্যানেজার শ্যামল আচার্যের উপর ভয় ভীতি দেখিয়ে প্রতিনিয়তই তোল্লা আদায় করত। কিন্তু গতকাল সেই যুবনেতা ঠিকেদারী কাজের ম্যানেজার শ্যামল আচার্যীর কাছে তোল্লা চাইতে গেলে শ্যামল আচার্যী তা দিতে অস্বীকার করলে বাধে বিপত্তি।

চলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এমনকি ম্যানেজারকে উলঙ্গ করে চলে মারধোর। অভিযোগ শ্যামল আচআর্যীকে দৌড়াতে দৌড়াতে মারতে থাকে। এখানেই ক্ষ্যান্ত থাকেননি সুব্রত সরকার কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের কেও মারধর করার জন্য উদ্যত হয়, নিরুপায় হয়ে শ্রমিক সহ ম্যানেজার শ্যামল আচার্জী আশ্রয় নেন ঋষ্যমূখ ফারিতে। ফাঁড়ি থেকে পুলিশসহ ঘটনাস্থলে এলেই পুলিশের সামনেই অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতে থাকে সুব্রত সরকার। সেখান থেকে কোন ক্রমে প্রাণ রক্ষা করে শান্তিরবাজার হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করান শ্যামল আচার্যী। পরবর্তি সময় ম্যানেজার শ্যামল আচার্জী এবং ঠিকাদার পঙ্কজ মল্লিক উপায়ান্ত না পেয়ে সঠিক তদন্তক্রমে সুবিচারের আশায় দ্বারস্থ হন বিলোনিয়া থানাতে। এই নিয়ে এলাকায় জুড়ে চাঞ্চল্যর পাশাপাশি উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।এখন দেখার বিষয় এই ঋষ্যমূখের দুর্দন্ত প্রতাপ যুবনেতা সুব্রত সরকারকে প্রশাসন বাগে আনতে কতটুকু সক্ষম হন।