Home BREAKING NEWS দোকান খোলার জন্য স্ব-পরিবারে ধর্ণা সিপিএম কর্মীর

দোকান খোলার জন্য স্ব-পরিবারে ধর্ণা সিপিএম কর্মীর

by News On Time Tripura
0 comment

চড়িলামঃ নির্বাচন কমিশনের “জিরো পোল ভায়োল্যান্স” এর স্লোগান যে সুপার ডুপার ফ্লপ ছিল ত্রিপুরায় তার আরও একটি জলজ্যান্ত চিত্র দেখা গেল সোমবার। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে চড়িলাম বাজারের এক বিরোধী দলের কর্মীর দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। মাতব্বরদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেও কোন সমাধান না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত মা, বাবা, স্ত্রী ও ছোট্ট কন্যা সন্তানকে নিয়ে স্বপরিবারে দোকানের সামনে ধর্নায় বসল এক বাম কর্মী। ঘটনা বিশালগড় থানাধীন চড়িলাম বাজারে। দোকান মালিক বাম কর্মী আনোয়ার হোসেনের অভিযোগ, সে ২০১৮ সালের আগে থেকে চড়িলামে বিজেপির হয়ে সক্রিয় ভাবে কাজ করত। সেই সুবাদে আনোয়ার বিজেপি চড়িলাম মন্ডলের সদস্য এবং গোটা বিধানসভা এলাকার সংখ্যালঘু মোর্চার অবজারভার হিসেবে দায়িত্ব সামলেছে। কিন্তু দল ক্ষমতায় বসার পর চড়িলাম মন্ডলের এক নেতার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে মন্ডলের বৈঠকে প্রশ্ন তুললে তার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের করে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর বিগত বিধানসভা নির্বাচনের ১০ দিন পূর্বে অর্থাৎ ৬ ফেব্রুয়ারী আনোয়ার সিপিএম দলে যোগ দেয়। আনোয়ার বিরোধীদলে যোগ দেওয়ার অপরাধে নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকে পরিবারের আয়ের একমাত্র উৎস তার দোকানটি স্থানীয় মাতব্বরা বন্ধ করে দেয়। এর পর থেকে অনেকের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছে আনোয়ার সহ তার পরিবারের লোকেরা। কিন্তু কোনও সুরাহা মিলেনি। অবশেষে আর কোনও উপায় না পেয়ে অবশেষে স্বপরিবারে দোকানের সামনে ধর্ণায় বসে বলে অভিযোগ করেন সিপিএম কর্মী আনোয়ার হোসেন। নির্বাচনের পর থেকে চরিলাম বাজারের বাম কর্মী আনোয়ার হোসেনের দোকান বন্ধ রাখার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন বাজার কমিটির সভাপতি চন্দন কুমার ভৌমিক। তিনি বলেন বাজারের সমস্ত ব্যবসায়ীরা আনোয়ার হোসেনের বিরোদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। কারণ আনোয়ার হোসেন বেশ উশৃঙ্খল। নির্বাচনের পূর্বে বাজার সহ এলাকার বেশ কিছু অসামাজিক কার্যকলাপেও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে আনোয়ার হোসেনের বিরোদ্ধে। এজন্য বাজারে যেন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা সংগঠিত না হয় এই জন্যই তার দোকান সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ছিল বাজার কমিটির। তাছাড়া এর মধ্যে বাজার কমিটির কোনও সভা না হওয়ায় আনোয়ার হোসেনের দোকান খোলা নিয়ে বাজার কমিটির সদস্যরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন চরিলাম বাজার কমিটির সভাপতি চন্দন কুমার ভৌমিক। তাছাড়াও চরিলাম মন্ডল সভাপতি রাজকুমার দেবনাথকে এবিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, বাজারের দোকান খোলা বা বন্ধ করার বিষয়টা পুরাটাই বাজার কমিটি দেখেন। এবিষয়ে রাজনৈতিক ভাবে চরিলাম মন্ডল কিংবা বিজেপি দল হস্তক্ষেপ করে না। এই বিষয়ে আনোয়ার হোসেনের অভিযোগ সম্পূর্নই ভিত্তিহীন। তাছাড়া আনোয়ার হোসেনের পরিবারের বিরোদ্ধে গোটা চরিলাম এলাকায় বেশ কয়েকবার অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে থানায় প্রায় সাত আট মামলা রয়েছে।

You may also like