তেলিয়ামুড়াঃ বিগত কিছুদিন ধরে প্রত্যন্ত পাহাড়ের জনপদ গুলিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য সামগ্রী বিক্রির অভিযোগ ছিল। যা ফলাও করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। আর এই সংবাদের জেরে অবশেষে নড়েচড়ে বসলো মহাকুমার খাদ্য দপ্তর। বৃহস্পতিবার তেলিয়ামুড়া মহকুমা খাদ্য দপ্তরের উদ্যোগে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য সামগ্রী বিরোধী অভিযানে নামে মুঙ্গিয়াকামি বাজারে।
জানা গেছে, তেলিয়ামুড়া শহর থেকে একটু গ্রাম কিংবা পাহাড়ি জনপদ গুলির ছোটখাটো বাজার সহ দোকানগুলিতে অবাদেই মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য সামগ্রী বিক্রির অভিযোগ ছিল। বিশেষ করে মুঙ্গিয়াকামী বাজারের আশপাশ এলাকা তথা ৪১ মাইল, ৪৩ মাইল, ৪৫ মাইল ৪৭ মাইল সহ হাজরা বাড়ি বেশ কয়েকটি দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য সামগ্রী বিক্রির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে। যা সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়েছিল। আরে সেই সংবাদের জেরে তেলিয়ামুড়া মহকুমা খাদ্য দপ্তরের টনক নড়ে। বৃহস্পতিবার মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য সামগ্রী বিরোধী অভিযানে নামে মুঙ্গিয়াকামি বাজারে বিভিন্ন দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য সামগ্রী তল্লাশি চালান। এই দিনের এই মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য সামগ্রী বিরোধী অভিযানে ছিলেন ডি.সি.এম অমিত রায় চৌধুরী, খাদ্য দপ্তরের আধিকারিক শুভঙ্কর দেববর্মা এবং ফুড ইন্সপেক্টর বুট্টু দেববর্মা। যদিও মুঙ্গিয়াকামি বাজারের বিভিন্ন দোকান থেকে কোন মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করতে পারিনি।
এদিকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে, যে সকল এলাকাগুলি থেকে চিত্র-তথ্য সহকারে সংবাদে প্রকাশ করা হলেও কোন এক অজ্ঞতা কারনে মহকুমা মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য সমগ্র বিরোধী অভিযানে থাকা আধিকারিকরা ওই সকল এলাকাগুলিতে পা-টুকু রাখার প্রয়োজন বোধ করলেন না। শুধুমাত্র মঙ্গিয়াকামী বাজারের লোক দেখানোর লক্ষ্যে খাদ্য দপ্তরের উদ্যোগে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য সামগ্রিক বিরোধী অভিযান। তবে বলা বাহুল্য, ওই সকল এলাকাগুলিতে অভিযানের না যাওয়াতে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য সামগ্রী অহরহ বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে আশির সকলের মধ্যে। আর এই মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য সামগ্রী খেয়ে বিভিন্ন রোগের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না ওয়াকি বহাল জনগণ