মুঙ্গিয়াকামীঃ শুখা মরশুমের শুরুতেই গ্রাম পাহাড়ে তীব্র পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দেয়। বিশেষ করে প্রত্যন্ত পাহাড়ি জনপদ গুলিতে বছরের পর বছর ধরে পানীয় জলের জন্য হাহাকার করতে হয়। তেলিয়ামুড়া মহকুমা মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের অধীন আঠারমুড়া এ.ডি.সি ভিলেজের ৪৩ মাইল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পাম্প মেশিন যোগে জল সরবরাহ না করাতে বৃহস্পতিবার জাতীয় সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় জনগণ। দীর্ঘ দুই ঘন্টা অবরোধ চালিয়ে অবশেষে ডি.ডব্লিও.এস দপ্তরের থেকে আশ্বাস পেলে পথ অবরোধ তুলে নেয় অবরোধকারীরা।
সংবাদে জানা গেছে,,, মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের অধীন আঠারমুড়া এ.ডি.সি ভিলেজের ৪৩ মাইল এলাকা সহ বিলাধন পাড়া, তিপ্রা বস্তি, ৪১ মাইল স্থিত রায়হামছা গুচ্ছগ্রামে সহ বিভিন্ন এলাকা রয়েছে যে এলাকাগুলোর মানুষজনেরা বছরের পর বছর ধরে বিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্য সংগ্রামে লিপ্ত হতে হয়। ওই সকল এলাকা গুলি মানুষজনেরা কেবলমাত্র পাম্প মেশিনের জলের উপর নির্ভর করে কোনভাবে জীবন যুদ্ধে বেঁচে রয়েছে। আর এই পাম্প মেশিনের জল ছাড়া বিকল্প কোনো ব্যাবস্থা নেই ওই সকল এলাকার বসবাসকারী জনজাতি অংশের গিরিবাসীদের। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘ প্রায় তিন চার দিন ধরে পাম্প মেশিন দিয়ে জল সরবরাহ করা হচ্ছে না। ফলে পানীয় জলের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে আঠারমোরা পাহাড়ের আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের ৪৩ মাইল এলাকায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। এই অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশ। পুলিশ অবরোধকারীদের সাথে দীর্ঘক্ষণ আলাপ-আলোচনা করে পথ অবরোধ তোলার জন্য ব্যার্থ হয়। পরে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় তেলিয়ামুড়া মহকুমার পুলিশ আধিকারিক প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা। এলাকাবাসীদের দাবি, ডি.ডব্লিউ.এস দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের প্রতিশ্রুতি পেলে পথ অবরোধ মুক্ত করে। পরে অবশ্যই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় মুঙ্গিয়াকামি ডি.ডব্লিউ.এস দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার। অবরোধকারীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করেন এবং প্রতিদিন দুইবার জল সরবরাহ করা হবে বলে আশ্বাস দিলে অবরোধকারীরা পথ অবরোধ তুলে দেয়। এদিকে জাতীয় সড়ক অবরোধের ফলে দূর দূরান্ত থেকে আসা ছোট বড় যানবাহন আটকে পড়ে। অবরোধকারীরা পথ অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
৪৩ মাইল এলাকা সহ আঠারমুড়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত বিভিন্ন জল পথ গুলিতে প্রতিনিয়তই পানীয় জলের জন্য সংগ্রামের লিপ্ত হতে হয়। এখন দেখার বিষয় ওই সকল এলাকাগুলিতে পানীয় জলের সংকট দূরীকরণে প্রশাসন কি ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।