বিশালগড়ঃ অভিনবত্বের ছোঁয়ায় বার বার বিস্মিত করছেন বিশালগড়ের তরুণ বিধায়ক। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা কম হলেও, সরল সাধারণ বক্তব্য এবং রাজনৈতিক বিচক্ষণতায় বরাবরই বিশালগড়ে জননেতার ছাপ দেখা যাচ্ছে তরুণ এই বিধায়কের ব্যক্তিত্বে। আবারও অভিনব উদ্যোগে চমক দেখালেন সুশান্ত দেব। বুধবার থেকে শুরু হয় রাজ্যের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। নিজেদের সন্তানদের পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে আসা অভিভাবকদের কথা চিন্তা করে তাদের জন্য স্ব-উদ্যোগে বসার বন্দোবস্ত করলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা পরীক্ষার্থীদের অভিবাবকদের জন্য প্রশান্তি নিলয় নামে একটি বসার সুবন্দোবস্ত করেন। যেখানে রয়েছে বৈদ্যতিক পাখা, পানীয় জল এবং বসার সুব্যবস্থা। বুধবার দুপুরে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে অভিবাবকদের জন্য নির্মিত এই প্রতিক্ষালয় গুলি ঘুরে দেখেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। কথা বলেন অভিবাবকদের সঙ্গে। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি সব সময় সব ক্ষেত্রে একটি অভিনবত্ত্বের ছাপ রাখার চেষ্টা করে। প্রশান্তি নিলয় এরই অঙ্গ। মূলত অভিবাবকদের রৌদ বৃষ্টিতে অপেক্ষা করতে গিয়ে যে সমস্যা গুলির সম্মুখীন হতে হতো তা-ই লাঘব করতে এই উদ্যোগ জানান বিধায়ক সুশান্ত দেব। বিগত দিনে এই ধরনের উদ্যোগ দেখা জায়নি কোথাও। তাই নব নির্বাচিত বিধায়কের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিবাবকরা। অন্যদিকে সারা রাজ্যের সাথে বিশালগড় সেন্টারের অধিনে মোট তিনটি ভ্যানুতে এই পরীক্ষা গ্রহন করা হচ্ছে। অফিস টিলা দ্বাদশ শ্রেনী বিদ্যালয়, বিশালগড় দ্বাদশ শ্রেনী বিদ্যালয় এবং কড়ইমুড়া দ্বাদশ শ্রেনী বিদ্যালয়ে চলছে পরীক্ষা গ্রহন কর্মসূচি। বিশালগড় পরীক্ষা সেন্টারের দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক মলয় ভৌমিক জানান, অফিসটিলা বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৫২। কিন্তু পরীক্ষায় বসেছে মোট ৪৪৯ জন। অন্যদিকে কড়ইমুড়া দ্বাদশ শ্রেনী বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৪৪। কিন্তু পরীক্ষায় বসে ২৪০ জন। বিশালগড় দ্বাদশ শ্রেনী বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫২৮, আর পরিক্ষায় বসে ৫২৪ পরীক্ষার্থী।