বিশালগড় প্রতিনিধি:
২০২৩ এর নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ গনতান্ত্রিক জোটের ডাক দিয়েছিল সিপিআইএম – কংগ্রেস । আর জোটের হিসাবে হয় আসন সমঝোতা। উভয় দলের কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতৃত্বদের দফায় দফায় বৈঠকে ধার্য হয় আসন বন্টনের হিসাব। আর সিপিআইএমের মতে সেই হিসাব মতই কংগ্রেসের জন্য ১৩টি আসন ছাড়ে তারা। আর তারপরই জোটে জট বাধা শুরু হয়। শুরু হয় রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে স্বদলীয় বিক্ষোভ। এরপর কংগ্রেস ১৭টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষনা করে জোটের সমস্যাকে আরও বেশী প্রকাশ্যে নিয়ে আসে। তারপর আবার শুরু হয় দফায় দফায় বৈঠক। রবিবার রাতে আবারো সমাধান খোঁজে বের করে জোটের নেতারা। সিদ্ধান্ত হয় কংগ্রেস পুর্ব সিদ্ধান্ত মত ১৩টি আসনেই প্রার্থী দেবে। তবে সোমবার আবারো সেই জট সামনে আসে, যখন রাজ্যের সবকয়টি আসনেই বামফ্রন্ট প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র দাখিল করে। সিপাহীজলা জেলায় কংগ্রেসের জন্য ছাড়া একটিমাত্র বিধানসভা কেন্দ্র চড়িলাম থেকেও সোমবার মনোনয়নপত্র জমা করে সিপিআইএম। চড়িলাম থেকে পলাশ দেব্বর্মাকে প্রার্থী করে সিপিআইএম। দলের রাজ্য কমিটির সদস্য সিদ্দিকুর রহমানের উপস্থিতিতে একপ্রকার কোন সোরগোল না করেই মনোনয়নপত্র জমা করে সিপিএম প্রার্থী। আর এতে আবারো বিরোধী জোটের মধ্যে ঝামেলা প্রকাশ্যে এল। আবার অন্যদিকে কংগ্রেস ১৬টি কেন্দ্রে তাদের মনোনয়ন পত্র জমা করে। তবে উভয় দলের এই পদক্ষেপে অন্য গনিত দেখছে রাজনৈতিক মহল। ২ তারিখের মধ্যে বামফ্রন্ট ১৩টি এবং কংগ্রেস ৩টি আসন থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবে বলেই সূত্রের খবর। তবে জোটের নিরিখে যখন রাজ্যের ভোটারদের কাছে ভোট চাইছে এই দুই রাজনৈতিক দল, তখন একে অপরের উপর বিশ্বাস হারিয়ে পক্ষান্তরে ভোটারদের বিশ্বাসই হারালেন বিরোধী জোট তাতে কোন সন্দেহ নেই।