রাজ্যঃ
২০১৮ এর পর ধারাবাহিকভাবে রাজ্যে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে ১৬৮টি বুথে পুনর্নিবাচন করাতে হয়েছিল পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে। এর পর বিভিন্ন উপ নির্বাচন, পুর নিগম, পুরসভা নির্বাচন এবং সর্বশেষ চারটি বিধানসভায় উপ নির্বাচনেও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ করে আসছিল বিরোধী দলগুলি। আর এই অভিযোগের নিরিখে ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে একটি অন্যতম এবং প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন রাজ্যবাসীর এবারে কি একই অবস্থায় ভোট হবে ? এবার কি নির্বিঘ্নে নিজের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারবেন রাজ্যবাসী। একটা অংশের অভিমত নির্বিঘ্নে ভোট হলে বিজেপি সরকারের পতন নিশ্চিত। কারন রাজ্যে বিজেপি কোন ভোট ব্যাঙ্ক তৈরী করতে পারেনি। ২০১৮-র নির্বাচনে সিপিএম এর দখলে ছিল ৪২.৭ শতাংশ ভোট। কংগ্রেসের ভোট কমার কারন ছিল রাজ্যের বিরোধী ভোটের সিঙ্ঘভাগই গিয়েছিল বিজেপির দখলে। কিন্তু ২০২৩ এ পুনরায় কংগ্রেস তার শক্তি বৃদ্ধি করাতে বিজেপির সেই ভোট শ্যায়ারের অনেকটাই আসতে চলছে কংগ্রেসের খাতায়। আর সিপিএম এর ভোট শতাংশ কতটা বিজেপি ভাংতে পেরেছে তার নির্দিষ্ট তথ্য নেই। এই অবস্থায় নির্বিঘ্নে ভোট হলে অবশ্যই ফলাফল শাসক দলের বিরুদ্ধে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও শাসক দল বিজেপির দাবী তারা রাজ্যে প্রায় ২লক্ষ ঘর, ৪ লক্ষ ভাতা এবং বহু ঘরে জলের লাইন সহ বিভি সরকারী সুবিধা পৌছে দিয়েছে যার নিরিখে মানুষ তাদের ভোট দেবে।
তবে রাজ্যে এর আগে নির্বাচনগুলোতে ভোট রিগিং এবং ছাপ্পা ভোটের বহু প্রামানিক তথ্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যার প্রমান নির্বাচন দপ্তরও শিকার করে লোকসভায় পুননির্বাচন করার আদেশ দিয়েছিল। তবে এইবার সেই অভিযোগ শিকার করলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক কিরন গিত্যে।
তবে আর যাই হোক ২০২৩ এর নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট সজাগ এবং প্রস্তুত নির্বাচন দপ্তরে। অবাধে এবং নির্বিঘ্নেই ভোট হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক।