ধর্মনগরঃ ধর্মনগরে জন বিশ্বাস যাত্রা দিয়ে ২০২৩ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনী দামামা বাজালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার দুপুর একটায় উত্তর জেলার ধর্মনগর বির বিক্রম ইনস্টিটিউট স্কুল মাঠে ঐতিহাসিক জন বিশ্বাস যাত্রার শুভ সূচনা হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত ধরে।এই জন বিশ্বাস যাত্রাকে সামনে রেখে বিজয় সংকল্প জনসভা আয়োজন করা হয়।এদিনের জন বিশ্বাস যাত্রা ও বিজয় সংকল্প জনসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা,প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব,উপ মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মণ,, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক,মন্ত্রী মনোজ কান্তি দে,শান্তনা চাকমা,ভগবান দাস, সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা,ত্রিপুরা নির্বাচনী প্রভারি ডাঃ মহেশ শর্মা, নির্বাচনী কো ইনচার্জ সমীর উরাং, সম্বিত পাত্রা,ধর্মনগরের বিধায়ক তথা উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, মলিনা দেবনাথ,বিনয় ভূষণ দাস,শম্ভু লাল চাকমা,ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য, প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত প্রমুখ।এদিন সকাল থেকেই বিজয় সংকল্প জনসভায় উত্তর জেলার ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি দলের নেতা কর্মীরা দলে দলে জনসমাবেশ সামিল হন।গোটা মাট সহ শহরের আনাচেকানাচে তিল ধরার জায়গা ছিলনা। তারপর উপস্থিত অতিথিরা একে একে তাঁদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাঝে বিজেপি সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরেন।সাথে বিরোধী সিপিআই (এম) ও কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন। পরিশেষে জনসভায় উপস্থিত হন এদিনের অনুষ্ঠানের মধ্যমনি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি প্রথমে ধর্মনগর বাসীকে সম্বোধন করে প্রায় কুড়ি মিনিটের বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, বিজেপির এই রথ যাত্রাকে জন বিশ্বাস যাত্রা নাম দেওয়া হয়েছে।গোটা ত্রিপুরায় ষাট টি রথ আট জেলায় আট দিন পরিক্রমা করে আগরতলায় গিয়ে মিলিত হবে।মোট এক হাজার কিলোমিটার পরিক্রমা করবে এই রথ গুলি। তিনি বলেন,রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিন সরকার চলছে।২০১৮ সালে মোদিজি রাজ্যকে হীরা উপহার দিয়েছিলেন।হীরা মানে হাইওয়ে, ইন্টারনেট, রেলওয়ে ও এয়ারওয়ে।এখন আবার রাজ্য হীরা থেকে মানিক পেল। বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হবার পর এন এল এফ টি জঙ্গি সংগঠনের সাথে সমঝোতা করে উগ্রবাদ দমন হয়েছে। ত্রিপুরায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার উজ্জ্বলা গ্যাস যোজনা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।৪ লক্ষ ১৫ হাজার পরিবারে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।৭৩ হাজার মাতৃবন্ধন ভাতা প্রদান করা হয়েছে।২ লক্ষ ৫০ হাজার কৃষকদের বছরে ৬ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। ১৩ লক্ষ মানুষকে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্হ্য বিমা করে দেওয়া হয়েছে।মোদি জির নেতৃত্বে ২৩০ কোটি ভারতীয়কে ফ্রিতে কোভিড টিকা প্রদান করা হয়েছে।সৌয়া বছর থেকে ৮০ কোটি পরিবারকে পাঁচ কেজি করে ফ্রিতে চাল দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যে বিভিন্ন ধরনের খেলার মাঠ তৈরীর জন্য ১৫ কোটি টাকা কেন্দ্র থেকে দেওয়া হয়েছে।এক কথায় ডাবল ইঞ্জিন সরকারের শাসনে ত্রিপুরার দিকে দিকে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে, সিপিআই (এম) ও কংগ্রেস দলের নাম নিয়ে বলেন, কংগ্রেস দল তো দেশ ছাড়া হয়েছে।আর সিপিআই(এম ) দল দোনিয়া ছাড়া হয়েগেছে।তাই ত্রিপুরায় পুনরায় কোমল খিলিঙ্গে। তিনি উত্তর জেলা বাসীকে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে কোমল চিহ্নে ভোট দেবারও আহ্বান রাখেন। পরিশেষে জন বিশ্বাস যাত্রার সূচনা অর্থাৎ বিজেপির রথের যাত্রা করে জনসভা স্হল ত্যাগ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।এদিন ধর্মনগর থেকে মোট পনেরোটি রথ পনেরোটি বিধানসভার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এদিকে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্য থেকে শুধু উন্নয়ন ছাড়া রাজ্য বাসীর কোন প্যাকেজ বা উপহার পেলোনা এদিনের জনসমাবেশে থেকে। অপরদিকে এদিন বিকেলে দক্ষিণ জেলার সাব্রুমে অপর একটি জন বিশ্বাস মাত্রায় অংশ নেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।