
বিহারের মহিলারা যাত্রী সেজে গাঁজা পাচারে বার বার ধরা পড়ছে রাজ্যে । এবার ত্রিপুরার গাঁজা ব্যবসায়ীদের বহিঃরাজ্যে গাঁজা পাচার ও বিক্রি করতে বেগ পেতে হচ্ছে । তাতে অবশ্য বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন অসম চুরাইবাড়ি ফাঁড়ির ইনচার্জ নিরঞ্জন দাস। মোটা অংকের বিনিময়ে ত্রিপুরা পুলিশকে ম্যানেজ করলেও অসমের করিমগঞ্জ জেলার চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোষ্টের পুলিশ অত্যন্ত তৎপর গাঁজা ধরপাকড় কাণ্ডে। শুক্রবার রাতে ত্রিপুরা থেকে গুয়াহাটি গামী একটি নৈশ বাসে তল্লাশি চালিয়ে ছয় যাত্রী সেজে বসা মহিলার ব্যাগ থেকে ছোট ছোট পয়ত্রিশটি প্যাকেটে মোট তেইশ কেজি নয়শো গ্রাম শুকনো গাঁজা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় অসম পুলিশ।গাঁজার পরিমাণ কম হলেও অভিনব কায়দায় বিহারের মহিলারা গাঁজা পাচারে সামিল হচ্ছে । কিছুটা নিজেদের শরীরে কাপড়ের ভেতর জড়িয়ে আবার কিছুটা নিজেদের লাগেজে করে নিয়ে যাচ্ছিল। তবে ধৃত মহিলারা পুলিশি জেরায় জানায় তাদের পেছনে পাচারকারী মূল নায়ক রয়েছে। তারা শুধু অল্প টাকার বিনিময়ে এ কাজ করছে। ধৃত ছয় মহিলা যথাক্রমে গুড়িয়া দেবী(৪০), সনি দেবী(৩৫), সীতা দেবী (৪২), সুনিতা দেবী (৪৮),রবিতা দেবী(৩৫),এবং পিংকু দেবী(৩০)। প্রত্যেকের বাড়ি বিহারে।